ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

৫০% মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেলের দাবি, প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২০ ১৩:৫০:৫৩
৫০% মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেলের দাবি, প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের দিনটা অন্যরকম ছিল রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র জাতীয় প্রেস ক্লাবে। ভোর থেকে রোদ-ঘাম উপেক্ষা করে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই সুর—“৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চাই, নবম পে-স্কেল চাই, কালো আইন মানি না”।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। একাত্মতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মচারীরাও।

সাত দফা দাবি নিয়ে এই কর্মসূচি হলেও মূল দুই দাবির ওপরই জোর দেন বক্তারা—

৫০% মহার্ঘ ভাতা

নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন

তবে আজকের জমায়েতের উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে এক সাম্প্রতিক অধ্যাদেশ।গত ২৫ মে সরকার যে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে, তাতে বলা হয়েছে—চারটি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই, শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই চাকরিচ্যুত করা যাবে যে কাউকে।

এই অধ্যাদেশকেই সমাবেশে আখ্যা দেওয়া হয় ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে।

একজন বক্তা বলেন:

"আমরা কি রোবট? ভুল করলে বিচার চাই, শাস্তি নয়! বিভাগীয় তদন্ত ছাড়া চাকরি চলে যাবে—এটা কোন সভ্য সমাজের আইন?"

আরেকজন বলেন—

"মহার্ঘ ভাতা না দিলে মাসের ২০ তারিখে হাতে কিছুই থাকে না। অথচ দফায় দফায় দাম বাড়ছে বাজারে, কমছে শুধু সম্মান আর সহ্যশক্তি।"

সমাবেশ থেকে আরও যেসব দাবি তোলা হয়:

৫% বিশেষ ভাতার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

পদোন্নতিতে বৈষম্য দূর

টাইমস্কেল ও ইনক্রিমেন্টে সমতা

পেনশন, অবসান সুবিধা সুনিশ্চিত করা

সম্মানজনক ও বাস্তবভিত্তিক বেতন কাঠামো প্রণয়ন

লাল কার্ড দেখালেন কর্মচারীরা!

সমাবেশে অনেক কর্মচারী হাতে লাল কার্ড তুলে ধরে বলেন—এই অধ্যাদেশ বাতিল না হলে তারা কর্মস্থলে “সাইলেন্ট প্রতিবাদ” চালিয়ে যাবেন এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

এই প্রতিবাদ নিছক দাবি আদায়ের আয়োজন নয়—এ যেন এক নিঃশব্দ হাহাকার, এক চেপে থাকা ক্ষোভের বিস্ফোরণ। যেখানে দাবি শুধু টাকা-পয়সার নয়, সম্মান, নিরাপত্তা আর ন্যায়বিচারেরও।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ