মাত্র ২৪ ঘণ্টায় বদলে গেল শেয়ারবাজারের চিত্র, বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘর্ষের আশঙ্কা দেশের শেয়ারবাজারে গত দুই কার্যদিবসে বড় প্রভাব ফেলেছিল। তবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাজারে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতির সংকেত দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসে এবং বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সূচক ও লেনদেন—দুয়োটিই বেড়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে, অর্থাৎ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হামলার খবরে ডিএসইতে প্রধান সূচক ৭৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সোমবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সূচক বাড়ে ১৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার বাজার শুরু হয় তুলনামূলক বেশি ক্রয়চাপ নিয়ে। লেনদেনের শুরুতে ডিএসই সূচক ৪৭ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ে। যদিও দিনের শেষভাগে মুনাফা গ্রহণের কারণে সূচকের বৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পায়।
সূচক ও লেনদেন
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২.৬২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪,৭১৭.৬৫ পয়েন্টে।
ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৭.০৬ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ১,০৩১.০১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১,৭৭১.৫১ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
ডিএসইতে এদিন ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৩৬টির দর বেড়েছে, ৯২টির দর কমেছে, এবং ৭৩টি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা থেকে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা বেশি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক এবং লেনদেন—দুয়োটি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রবণতা ছিল। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়ে হয়েছে ১৩,২১১.৪০ পয়েন্ট, যা আগের দিনের তুলনায় ৯৯.৩৭ পয়েন্ট বেশি। আজ সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট, যা আগের দিনের ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৭টি কোম্পানির মধ্যে ১১৭টির দর বেড়েছে, ৪৮টির কমেছে এবং ৩২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাজার বিশ্লেষণ
দিনের শুরুতে সূচকে যে তীব্র ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে, সেটি মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া। তবে এ ধরণের দ্রুত উত্থানের পর মুনাফা গ্রহণ একটি সাধারণ বিষয়, যা মঙ্গলবারও দেখা গেছে। বাজারে বিক্রয়চাপ বাড়লেও সামগ্রিক সূচক ও লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিক বাণিজ্যিক কৌশলে ফিরে আসছেন। আগামীতেও যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, তবে বাজারে ধাপে ধাপে কার্যকর পুনরুদ্ধার প্রত্যাশা করা যায়।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রয়োজন হবে তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা। সংবেদনশীল খবরের প্রতিক্রিয়ায় বাজারের অস্থিরতা এড়াতে পোর্টফোলিও বৈচিত্র্য এবং দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া অধিক উপযোগী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- ভারতের সাবেক স্পিনার দিলীপ দোশী মারা গেলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- FIFA ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫: এক নজরে ৮ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না