ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ০০:২৭:২৯
পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ

ক্লাব বিশ্বকাপে একতরফা জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) বনাম ইন্টার মায়ামির মধ্যকার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো ম্যাচটা যেন হয়ে উঠেছিল একতরফা এক প্রদর্শনী। ইউরোপের তারকা দল পিএসজি প্রথমার্ধেই চারটি গোল করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি। বিপরীতে, লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির জন্য ম্যাচটি হয়ে উঠেছে হতাশাজনক এক অভিজ্ঞতা।

ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ, ৪৫ মিনিটেই গোলের বন্যা

ম্যাচ শুরু হতেই দাপট দেখাতে থাকে পিএসজি। ষষ্ঠ মিনিটেই প্রথম গোলটি করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। ৩৯ মিনিটে আবারও জালের দেখা পান তিনি। এর মধ্যেই ম্যাচে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলে ফরাসি দলটি।

৪৪ মিনিটে ইন্টার মায়ামির ডিফেন্ডার টমাস অ্যাভিলেস আত্মঘাতী গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। এরপর যোগ করা সময়ে মরক্কোর ডিফেন্ডার আক্রাফ হাকিমি চতুর্থ গোলটি করে প্রথমার্ধেই ম্যাচের ফয়সালা করে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধে কোনো গোল না হলেও পিএসজি রক্ষণ ও মাঝমাঠের দখল ধরে রাখে, যাতে ইন্টার মায়ামি ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগই পায়নি।

পিএসজির পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় কতটা প্রভাবশালী ছিল তারা

মাঠের পরিসংখ্যানগুলো জানলে বোঝা যাবে, ইন্টার মায়ামি কেন পুরোপুরি কোণঠাসা ছিল।

বল দখল: পিএসজি – ৬৭%, ইন্টার মায়ামি – ৩৩%

মোট শট: পিএসজি – ১৯টি (৯টি অন টার্গেট), ইন্টার মায়ামি – ৮টি (৩টি অন টার্গেট)

পাসের সংখ্যা: পিএসজি – ৭৩৩টি, ইন্টার মায়ামি – ৩৫৯টি

পাস সফলতার হার: পিএসজি – ৯৩%, ইন্টার মায়ামি – ৮৫%

ফাউল: পিএসজি – ৯টি, ইন্টার মায়ামি – ১০টি

হলুদ কার্ড: ইন্টার মায়ামি – ৩টি, পিএসজি – কোনোটি নয়

কর্নার: পিএসজি – ৭টি, ইন্টার মায়ামি – ৩টি

বড় ম্যাচে ছোট দল, অভিজ্ঞতার পার্থক্য স্পষ্ট

এই ম্যাচে বড় দলের বিপক্ষে ছোট দলের সীমাবদ্ধতা যেন স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ল। মায়ামির তারকা দলে মেসি, সুয়ারেজ, বুসকেটসদের মতো ফুটবলার থাকলেও, ইউরোপীয় লেভেলের পেশাদারতা ও গতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারেনি তারা। পিএসজির পাসিং, প্রেসিং ও গোলমুখে কার্যকারিতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

বিশেষ করে জোয়াও নেভেসের পারফরম্যান্স ম্যাচের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তরুণ এই মিডফিল্ডার দেখালেন কেন তাকে ভবিষ্যতের সেরা বলেই ধরা হচ্ছে।

পরবর্তী ধাপে পিএসজির প্রতিপক্ষ কারা?

এই জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। যদিও পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এখনো নিশ্চিত নয়, তবে তাদের পারফরম্যান্স দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা ট্রফি জয়ের জন্য কতটা প্রস্তুত।

অন্যদিকে, ইন্টার মায়ামির জন্য ম্যাচটি ছিল হতাশাজনক। দলের তারকা খেলোয়াড়রা প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। কোচিং স্টাফ ও ক্লাব ম্যানেজমেন্টের জন্য এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

এই ম্যাচের ফলাফলে কোনো নাটকীয়তা ছিল না। পিএসজি তাদের অভিজ্ঞতা, গতি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সহজেই জয় তুলে নেয়। ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে এমন একতরফা জয় শুধু পিএসজির শ্রেষ্ঠত্বই নয়, বরং ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর আধিপত্যকেই আবারও স্মরণ করিয়ে দিল।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ