ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পিএসজি বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: শেষ মুহুর্তের উত্তেজনায় ২ গোলে শেষ ম্যাচ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০৬ ০০:১৩:২৫
পিএসজি বনাম বায়ার্ন মিউনিখ: শেষ মুহুর্তের উত্তেজনায় ২ গোলে শেষ ম্যাচ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর কোয়ার্টার ফাইনালে ইউরোপের দুই পরাশক্তি প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) ও বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হলে ফুটবলপ্রেমীরা এক উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই প্রত্যক্ষ করেন। ম্যাচে শক্তির লড়াই, ট্যাকটিক্যাল মুভ এবং রেফারির একাধিক কঠিন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জয়ী হয় ফরাসি ক্লাব পিএসজি। এই জয়ে তারা জায়গা করে নেয় প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্সিডিজ-বেন্‌জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ, তবে গোল আদায়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে তারা। পিএসজির রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক ছিল অত্যন্ত সজাগ এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণ দক্ষতার সাথে প্রতিহত করে।

ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত

৭৮ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন তরুণ ফরাসি মিডফিল্ডার দেজিরে দোয়ে। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে মাটিতে রাখা একটি নিখুঁত শটে জাল কাঁপান তিনি। এই গোলের পর থেকেই পিএসজি আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকে।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে, অর্থাৎ ৯০+৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন উসমান দেম্বেলে। প্রতিপক্ষের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে তিনি গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান। গোলটির মাধ্যমে বায়ার্নের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়।

শৃঙ্খলা ও বিতর্ক

পিএসজির এই জয়ে কিছুটা ছায়া ফেলেছে দুইজন খেলোয়াড়ের লাল কার্ড প্রাপ্তি। ম্যাচের ৮২ মিনিটে ডিফেন্ডার উইলিয়াম পাচো এবং ৯০+২ মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজ সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। ফলে ম্যাচের শেষভাগে তারা নয়জন খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে থাকলেও বায়ার্ন সুযোগ নিতে পারেনি।

পরিসংখ্যান তুলনা

পরিসংখ্যানপিএসজিবায়ার্ন মিউনিখ
শট ১১ ১৩
শট অন টার্গেট
বল দখল ৪৫% ৫৫%
মোট পাস ৩৫৪ ৪০৭
পাস সফলতা ৭৬% ৮২%
ফাউল ১২ ১৩
হলুদ কার্ড
লাল কার্ড
অফসাইড
কর্নার

ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় বায়ার্ন মিউনিখ বল দখলে এগিয়ে ছিল (৫৫%), তবে দুটি দলের শট অন টার্গেট ছিল সমান—পাঁচটি করে। পিএসজি মোট ১১টি শট নেয় যেখানে বায়ার্ন নেয় ১৩টি। পাসের পরিমাণেও বায়ার্ন ছিল এগিয়ে—৪০৭ পাসের বিপরীতে পিএসজির ৩৫৪টি পাস। পাসের নির্ভুলতার দিক দিয়েও বায়ার্ন এগিয়ে—৮২% বনাম ৭৬%। তবে পরিসংখ্যান যতই হোক, গোলের কৃতিত্ব এবং কার্যকারিতায় এগিয়ে ছিল পিএসজি।

প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

পিএসজি কোচ ম্যাচ শেষে বলেন, "এই জয় শুধু একটি জয় নয়, এটি দলের মনের জোর এবং সংহতির প্রতিচ্ছবি। আমরা পরবর্তী রাউন্ডে আরও মনোযোগী এবং কৌশলগত খেলায় নামবো।"

অন্যদিকে বায়ার্ন কোচ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "আমরা সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের রক্ষণভাগ এবং ফিনিশিং আমাদের ডোবালো। আমাদের এখন সামনের মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।"

পরবর্তী ধাপ

পিএসজি এখন সেমিফাইনালে উঠেছে, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন অথবা আরেক ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিরুদ্ধে—এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। তাদের লক্ষ্য এবার ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ