ভিশন ২০৩০: সৌদিতে উচ্চদক্ষ কর্মীর চাহিদা, বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ এখন শুধু কাগজে-কলমে পরিকল্পনা নয়, বাস্তবায়নের পথে মাইলফলক অতিক্রম করছে একের পর এক মেগা প্রকল্প। নির্মাণ হচ্ছে NEOM, The Line, Red Sea Project, Qiddiya, এবং আরও অনেক আধুনিক শহর ও পর্যটনকেন্দ্র। এর ফলে সৌদি শ্রমবাজারে তৈরি হচ্ছে উচ্চদক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তি–সক্ষম কর্মীর চাহিদা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশ কি এ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত?
কোন খাতে সবচেয়ে বেশি দক্ষ জনশক্তি চায় সৌদি?
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভিশন ২০৩০–এর আওতায় নিচের খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন:
নির্মাণ প্রকৌশল (Construction Engineering)
ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল প্রযুক্তি
হসপিটালিটি ও পর্যটন ব্যবস্থাপনা
আইটি ও সফট স্কিল–ভিত্তিক পেশা
নতুন যুগের টেকনোলজিভিত্তিক খাত—AI, রোবটিক্স, স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট
সৌদি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলেছে, “অদক্ষ শ্রমিকের জায়গা দিন দিন কমে আসবে। যাঁরা দক্ষ, তাঁরাই টিকবে।”
বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
বাংলাদেশ এখনো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে “লো স্কিল” নির্ভর দেশ।বাংলাদেশের ৯০% কর্মী এখনও নির্মাণ ও ক্লিনার পেশার সাধারণ কাজ করে। অথচ ভারত, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যে হসপিটালিটি ও টেক-নির্ভর স্কিলড ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্বলতা:
সরকারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো যুগোপযোগী কোর্স চালু করেনি
ভাষাজ্ঞান ও সফট স্কিল প্রশিক্ষণ প্রায় অনুপস্থিত
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সহায়তা সীমিত
দক্ষতা যাচাইয়ের কোনো জাতীয় সনদব্যবস্থা নেই
বাংলাদেশিদের জন্য হুমকি কোথায়?
সৌদির নতুন নিয়মে অনেক কর্মক্ষেত্রে এখন চাইছে:
তাকামুল ও নীতাকাত সার্টিফায়েড কর্মী
বিশেষ ট্রেনিং ও দক্ষতার প্রমাণপত্র
ইংরেজি বা আরবি ভাষায় মৌখিক দক্ষতা
এই শর্তগুলো পূরণে বাংলাদেশিরা পিছিয়ে থাকলে ভবিষ্যতে এ বাজার অন্য দেশের হাতে চলে যেতে পারে।
কী করণীয় এখনই?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই নিচের উদ্যোগগুলো নেওয়া জরুরি:
টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটগুলোতে আধুনিক কোর্স চালু
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে দ্রুত দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প
বিদেশে চাকরির আগেই ভাষা ও সফট স্কিল–ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
চুক্তিভিত্তিক বিদেশি নিয়োগ সংস্থার সঙ্গে দক্ষতা মানদণ্ড নির্ধারণ
ভিশন ২০৩০ শুধু সৌদি আরবের উন্নয়ন লক্ষ্য নয়, এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি অসাধারণ সুযোগ। কিন্তু এই সুযোগ নিতে হলে আমাদের চাই সমন্বিত উদ্যোগ, প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা ভিত্তিক রপ্তানীনীতি।
নইলে এক সময় “বাংলাদেশ” নামটি সৌদির শ্রমবাজারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়তে পারে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- তারেক রহমানের নির্দেশ বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল: বাদ পড়লেন যারা
- বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
- হাদিকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল ফয়সাল, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ফলাফল দেখুন এখানে
- নির্বাচনের আগেই বিএনপির তিন নেতার বিদ্রোহে উত্তাল রাজনীতি
- বিপিএল: এক নজরে জানুন ৬ দলের স্কোয়াড, সময়সূচি ও লাইভ দেখার উপায়
- নায়ক রিয়াজ মারা গেছেন না বেঁচে আছেন কি ঘটেছে জানা গেল আসল সত্য
- নতুন পে স্কেল আপডেট: সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ১৮ বছর পর বিএনপির সামনে ৫টি কঠিন চ্যালেঞ্জ
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫)
- ৩ দিনের লম্বা ছুটি: বন্ধ থাকবে দেশের যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
- bpl 2026: এক নজরে জেনে নিন বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
- পাসপোর্ট থেকে রাজপথ: তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ৫টি অজানা তথ্য
- প্রাথমিকের শিক্ষকদের বড় সুখবর দিল সরকার
- আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম: ভরিতে ৪২০০ টাকা বেড়ে দাম এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ