Alamin Islam
Senior Reporter
ভেঙে যাচ্ছে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ৮ দলীয় জোট?
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি ইসলামী দলের নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়া অঙ্কুরেই মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় এই জোটের ভবিষ্যৎ এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে। মূলত বড় দলগুলোর বিশাল চাহিদার বিপরীতে জামায়াতের অনড় অবস্থানই জোটটিকে ভাঙনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
‘ওয়ান বক্স’ নীতিতে ফাটল
ইসলামী দলগুলোর ভোটকে একটি একক প্ল্যাটফর্মে এনে ‘ওয়ান বক্স’ বা এক বাক্সে ভোট সংগ্রহের মাধ্যমে সরকার গঠনের লক্ষ্য ছিল এই জোটের। কিন্তু লিয়াজোঁ কমিটির দফায় দফায় বৈঠকেও একক প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উচ্চাভিলাষী আসন চাহিদাই এই জটিলতার মূল কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কার চাহিদা কত? কেন এই দ্বন্দ্ব?
সূত্রের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জোটের দলগুলোর আসন চাহিদা এতটাই বেশি যে তা সমন্বয় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: চরমোনাই পীরের এই দল অন্তত ১২০টি আসনে সমঝোতা করতে চায়। এর মধ্যে ১০০টি আসনে তারা কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস: মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন এই অংশটি অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি আসন দাবি করছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): নতুন করে আলোচনায় আসা এই দলটিও অন্তত ৫০টি আসনের প্রত্যাশা করছে।
জামায়াতে ইসলামী: জোটের প্রধান শক্তি জামায়াত অন্তত ২০০টি আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
অন্যান্য দলগুলোর চাহিদা পূরণ করতে গেলে জামায়াতের নিজস্ব আসন সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। এই চাপ সামলাতে না পেরে জোট ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে বেশ কিছু শরিক দল।
বিকল্পের খোঁজে শরিকরা: বিএনপির দিকে নজর?
আসন সমঝোতা না হলে এই জোট থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি বা বিকল্প কোনো বড় জোটে যাওয়ার চিন্তা করছে কয়েকটি দল। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা ইউনুস আহমদ জানিয়েছেন, বিএনপি থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের জন্য ‘দ্বার খোলা’ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সম্মানজনক আসন না পেলে তারা জোট থেকে বেরিয়ে আসারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুল রহমান আজাদ পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করে জানিয়েছেন, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সবাই ছাড় দিলে ঐক্য বজায় রাখা সম্ভব।
শনিবারের বৈঠকেই কি শেষ ফয়সালা?
সংশ্লিষ্টদের মতে, আগামী শনিবার জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি চূড়ান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকেই নির্ধারিত হবে জোটটি টিকে থাকবে নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাবে। যদি শনিবারেও কোনো সমাধান না আসে, তবে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের সময় পর্যন্ত দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার দিকে ঝুঁকতে পারে।
নির্বাচনী মাঠে একক শক্তিতে লড়তে চাওয়া ইসলামী দলগুলোর এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল শেষ পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- তারেক রহমানের নির্দেশ বিএনপির মনোনয়নে বড় রদবদল: বাদ পড়লেন যারা
- বাংলাদেশকে না বলে দিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড
- হাদিকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল ফয়সাল, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- অনার্স ১ম বর্ষের রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশ: ফলাফল দেখুন এখানে
- নির্বাচনের আগেই বিএনপির তিন নেতার বিদ্রোহে উত্তাল রাজনীতি
- বিপিএল: এক নজরে জানুন ৬ দলের স্কোয়াড, সময়সূচি ও লাইভ দেখার উপায়
- নায়ক রিয়াজ মারা গেছেন না বেঁচে আছেন কি ঘটেছে জানা গেল আসল সত্য
- নতুন পে স্কেল আপডেট: সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ১৮ বছর পর বিএনপির সামনে ৫টি কঠিন চ্যালেঞ্জ
- আজকের সোনার দাম: (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫)
- ৩ দিনের লম্বা ছুটি: বন্ধ থাকবে দেশের যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
- bpl 2026: এক নজরে জেনে নিন বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
- পাসপোর্ট থেকে রাজপথ: তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ৫টি অজানা তথ্য
- প্রাথমিকের শিক্ষকদের বড় সুখবর দিল সরকার
- আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম: ভরিতে ৪২০০ টাকা বেড়ে দাম এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ