ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বাজারে শেয়ার ছাড়ছে সরকার, ইউনিলিভার ও সানোফি আলোচনায়

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ২৩:২৪:৩৪
বাজারে শেয়ার ছাড়ছে সরকার, ইউনিলিভার ও সানোফি আলোচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারে গুণগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট সুযোগ তৈরি করতে সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বিদেশি অংশীদারিত্বে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত আলোচনা হয়।

বৈঠকে শিল্পসচিব ওবায়দুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, বিসিআইসি, বিএসআরবি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বহুজাতিক কোম্পানির প্রতিনিধি ও নীতিনির্ধারক কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনার মূল দিক

এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো শেয়ারবাজারে উচ্চমানের কোম্পানির উপস্থিতি বাড়ানো, বাজারে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার অর্জনের সুযোগ তৈরি করা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেসব কোম্পানিতে সরকারের অংশীদারিত্ব রয়েছে, সেগুলোর ন্যূনতম ৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর শেয়ারে সরকারের বা আইসিবির অংশ রয়েছে, সেগুলোর শেয়ারও বাজারে ছাড়ার সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করা হবে।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান

বৈঠকে অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল:

ইউনিলিভার বাংলাদেশ

নুভিস্টা ফার্মা

সানোফি বাংলাদেশ

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ)

আইপিডিসি ফাইন্যান্স

দ্য বেঙ্গল গ্লাস ওয়ার্কস

মিরপুর সিরামিক ওয়ার্কস

হিমাদ্রি লিমিটেড

কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি

এই কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোতে সরকারের প্রত্যক্ষ বা আইসিবির মাধ্যমে পরোক্ষ অংশীদারিত্ব রয়েছে।

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া

বৈঠকে কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি, মূল্যায়ন কাঠামো, রেগুলেটরি প্রক্রিয়া এবং শেয়ার অফলোডিংয়ের কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বাজারে দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণে মত দেন, যেন এসব শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে সহজে লেনদেনযোগ্য হয় এবং কোম্পানিগুলোর ফ্লোটিং শেয়ার বাড়ে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে, একদিকে যেমন বাজারের আকার ও গভীরতা বাড়বে, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা লাভজনক এবং প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর অংশীদার হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে বাজারে আস্থা ফিরবে এবং দীর্ঘমেয়াদি পুঁজিগঠনে সহায়ক হবে।

সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপ শেয়ারবাজারের মান উন্নয়নে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং বিনিয়োগ পরিবেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ