১ বছরের সব ‘আলোচিত প্রশ্নে’ উত্তর দিলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন যাত্রার চিত্র তুলে ধরলেন শফিকুল আলম। এক বছরের এই দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা তিনি নিজেই ‘অবিশ্বাস্য’ ও ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে তিনি ইংরেজিতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যা পরবর্তীতে বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছে।
শফিকুল আলম শুধুমাত্র নিজের কাজের মূল্যায়ন করেননি, তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বছরের বিভিন্ন সময়ে হওয়া সমালোচনা ও বিতর্কিত বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। তার ভাষায়, প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার সুযোগ, দায়িত্বের চাপ, কখনও কখনও ভুল—সবকিছিই এক অবিস্মরণীয় যাত্রার অংশ ছিল।
শফিকুল আলমের ভাষায়, “অবিশ্বাস্য একটি যাত্রা ছিল এটি। একটি বিদেশি সংস্থার ব্যুরো চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালন থেকে দৈনিক স্পটলাইটে এসেছিলাম। গত এক বছরে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেছি। কাজটি গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছে এবং তা আস্তে আস্তে গড়ে তুলতে হয়েছে।
আগে যেহেতু এটি মূলত আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছিল।” নিজের কাজের মূল্যায়ন করে প্রেসসচিব বলেন, “আমার কাজ কি আমি ভাল করেছি? আমি করেছি -আমি বিশ্বাস করি। আমার কিছু বন্ধু যদিও অন্য কিছু মনে করে। আমি তাদের মতামতকে সম্মান করি।
ইস! আমি যদি আরো ভালো করতে পারতাম। আমার কিছু ভুল ছিল। মাঝে মাঝে আমি প্রতিক্রিয়া জানাতে খুব দেরি করেছি। মাঝে মাঝে আমার প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত হয়নি। অর্থনীতির মত যোগাযোগকে “ডিসমাল সায়েন্স” বলা হয়।
নিয়ম আছে—কিন্তু বাস্তবতা সবসময় তা মানে না।” এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু হারানোর কথাও তুলে ধরেন তিনি। “বছরটি কঠিন ছিল, আমার স্ত্রী, সন্তান এবং ভাইবোনদের জন্য। আমার অবস্থানের জন্য আসা চাপ তাদের সহ্য করতে হয়েছে। আমি বন্ধুদের হারিয়েছি, সাংবাদিকদের হারিয়েছি।”
তিনি বলেন, কিছু তরুণ সাংবাদিক খোলাখুলিভাবে আমার সমালোচনা করেছে। আমাকে একজন "স্পিন ডাক্তার" হিসেবে দেখেছে। কিন্তু আমি স্পিন করিনি। আমি সাদাকে "সাদা" আর কালোকে "কালো" বলেছি । ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য মানে এই নয় যে এক পক্ষ মিথ্যা বলছে।
গত এক বছরে যে ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন, সেগুলোকে প্রশ্নে রেখে উত্তর দেন শফিকুল আলম।
*হাসিনার ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার কি প্রয়োজন ছিল?
হ্যাঁ, ছিল। তিনি ছিলেন একজন নির্মম স্বৈরশাসক। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে তার জায়গা দেখানো দরকার ছিল।
*আপনি কি বামপন্থীদের ‘বনসাই’ বলেছেন?
না, আমি তা বলিনি। আমি বলেছি ওরা বাংলাদেশকে বনসাই করে রাখতে চায়।
*আপনি কি আপনার দায়িত্বের পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন?
না, আবার সাংবাদিকতায় ফিরব ইনশাআল্লাহ।
*লন্ডনে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা কি আপনাকে আক্রমণ করেছিলেন?
না। চাথাম হাউজের বাইরে কিঞ্চিৎ চিৎকার করেছিল ।এটা ছিল পশ্চিমা ধাঁচের প্রতিবাদ । তারা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এরকম প্রতিবাদ করতে পারত। খুন করার চেয়ে ঘেউ ঘেউ করা ভালো।
*আপনি সরকারের মুখপাত্র নাকি প্রেস সচিব?
হোয়াইট হাউসের ক্লাসিক মডেল অনুযায়ী, একজন প্রেস সচিবই রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং সরকারের মুখপাত্রও। প্রেস সচিবের ভূমিকা ওভারল্যাপ হয়।
*“স্টারমার কানাডা ভ্রমণ করছে” মন্তব্য কি ইচ্ছাকৃত ছিল?
না, প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের প্রথম দিনে একজন ব্রিটিশ এমপি জানিয়েছিলেন যে তিনি সন্দেহ করছেন যে স্টারমার হয়ত কানাডায়। আমি প্রেসকে বলেছিলাম যে সে ‘সম্ভবত’ কানাডায় । ধারাভাষ্যকাররা ‘সম্ভবত’ বাদ দিয়েছিল। আমার ভুল হয়েছিল, কথা বলার আগে চেক করে নেওয়া উচিৎ ছিল।
*আপনি কি কাজটি উপভোগ করছেন?
একেবারে। আমার জন্য এটি একটি বিশাল শিক্ষা সফর ছিল।
*আপনি কি চাপে আছেন?
না, তবে ৩৬ ঘণ্টায় দিন হলে আমার জন্য ভালো হতো।
*আপনি আপনার সরকারের কর্মক্ষমতা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
এ++। সংস্কার চলছে, ট্রায়াল দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মনোযোগ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে।
*আপনি আপনার প্রেস উইংকে কীভাবে রেট করেন?
পথ প্রদর্শক। ভবিষ্যতের প্রেস উইংয়ের জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করা গেছে।
*আপনি কি এখন ধনী?
না, আমার সঞ্চয় এর একটি ভাল অংশ শেষ হয়ে গেছে।
*আপনার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়?
লাইভ ব্রিফিং বা টকশোতে ভুল কিছু বলে ফেলা— যেখানে কোনও উপায় নেই কথাটি ফিরিয়ে নেওয়ার।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- আজ ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচী
- আজ ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- দুটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: টস শেষ, লাইভ দেখুন এখানে
- আগামীকাল ৪ কোম্পানির বোর্ড সভা, আসছে ডিভিডেন্ড
- আগামীকাল আসছে পাঁচটি কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- 'এ' ক্যাটাগরি থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর এক কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজিবাজারে নতুন চমক! ৪ কোম্পানিতে উদ্যোক্তা বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- ভারতকে লড়াকু রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান, লাইভ দেখুন এখানে
- শেয়ারবাজারে অবিশ্বাস্য উল্লম্ফন: রেকর্ড গড়েছে ৬ কোম্পানির শেয়ার
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড! ৪ কোম্পানির চমকপ্রদ উত্থান, কেন?
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে