৭ কারণে আপনার জমি বিডিএস রেকর্ডে এখনই উঠছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) এর মাধ্যমে। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন স্যাটেলাইট, ড্রোন এবং গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবহার করে জমির মালিকানা ও অবস্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সব জমি এই নতুন রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে না। কিছু নির্দিষ্ট কারণে, আপনার জমি এখনই বিডিএস রেকর্ডে উঠতে ব্যর্থ হতে পারে।
১. অর্পিত সম্পত্তি ও অনবিক্রীত হিন্দু জমি
যেসব জমি দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হয়নি বা অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে, সেগুলো রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
২. সরকারি জমি
রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বা অন্য সরকারি দপ্তরের জমি ব্যক্তিগত নামে রেকর্ড করা যাবে না। জোরপূর্বক দখল করা সরকারি জমিও বৈধ হবে না।
৩. সহ-অংশীদারদের বঞ্চিত করে দখলকৃত জমি
পরিবার বা অংশীদারদের অবহেলা বা ঠকিয়ে নেওয়া জমি রেকর্ডভুক্ত হবে না।
৪. লিজ বা বন্ধক নেওয়া জমি অন্যকে বিক্রি করা
লিজ বা বন্ধক থাকা জমি অন্য ক্রেতাকে বিক্রি করলে, রেকর্ডে তা অন্তর্ভুক্ত হবে না এবং ক্রেতা সমস্যায় পড়তে পারেন।
৫. মালিকানার চেয়ে বেশি জমি বিক্রি
যতটুকু জমি আপনার, তার চেয়ে বেশি বিক্রি করলে অতিরিক্ত অংশ রেকর্ডে বাতিল হয়ে যাবে।
৬. বন্টননামা ছাড়া যৌথ জমি কেনা
যৌথ মালিকানাধীন জমি কেনার পর যদি অন্য অংশীদার আপত্তি তুলেন, রেকর্ডে অন্তর্ভুক্তি জটিল হয়ে যাবে।
৭. ওসিয়তনামার সীমা অমান্য
ইসলামী আইন অনুযায়ী, এক-তৃতীয়াংশের বেশি জমি উইলে দিলে সেই অংশ রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে না।
বিডিএসের সুবিধা
বিডিএস বাস্তবায়িত হলে জমির মালিকরা অনলাইনে তাদের জমির তথ্য সহজে দেখতে ও যাচাই করতে পারবেন। এটি জমি কেনাবেচা, নামজারি ও দখল সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
আইনজীবী ও ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে জমির সব দলিল, খতিয়ান ও মালিকানার প্রমাণপত্র শতভাগ সঠিক ও বৈধ হতে হবে। তাই এখনই জমির দলিলপত্র নিয়মমাফিক হালনাগাদ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)
প্রশ্ন ১: বিডিএস কী এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: বিডিএস বা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারা দেশে জমির মালিকানা ও অবস্থান নির্ধারণের প্রকল্প। এটি জমি রেকর্ড, নামজারি ও দখল সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ২: আমার জমি বিডিএস রেকর্ডে না আসার প্রধান কারণ কী হতে পারে?
উত্তর: মূল কারণগুলো হলো—অর্পিত বা অনবিক্রীত জমি, সরকারি জমি, সহ-অংশীদারদের বঞ্চিত জমি, লিজ বা বন্ধক থাকা জমি বিক্রি, মালিকানার চেয়ে বেশি বিক্রি, বন্টননামা ছাড়া যৌথ জমি, এবং ওসিয়তনামার সীমা অমান্য।
প্রশ্ন ৩: আমি কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি যে আমার জমি বিডিএস রেকর্ডে উঠবে?
উত্তর: জমির সব দলিল, খতিয়ান ও মালিকানার তথ্য সঠিক ও বৈধ রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জমির কাগজপত্র নিয়মমাফিক হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
প্রশ্ন ৪: অনলাইনে আমি কিভাবে আমার জমির তথ্য যাচাই করতে পারি?
উত্তর: বিডিএস বাস্তবায়িত হলে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিজের জমির তথ্য দেখা ও যাচাই করা যাবে।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- দুটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: টস শেষ, লাইভ দেখুন এখানে
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি: ডিএসইর কড়া সতর্কবার্তা জারি
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- ভারতকে লড়াকু রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান, লাইভ দেখুন এখানে
- দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ডে হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- এশিয়া কাপ শিরোপা নিলো না ভারত
- ২,৩০০ কোটি টাকার বন্ডে শেয়ারবাজারে আলোড়ন: বিএসইসি'র অনুমোদন
- শেয়ারবাজারে আতঙ্ক! ১৪ প্রতিষ্ঠানের রদবদলে অন্ধকারে বিনিয়োগকারীরা
- এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৫: ফল নিয়ে যা জানা গেল
- ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল: শেষ ওভারে শ্বাসরুদ্ধকর ভাবে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল