ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

শূন্য পদ অনুযায়ী সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫ শুরু হচ্ছে

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১০:৫৫:১০
শূন্য পদ অনুযায়ী সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫ শুরু হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ধারা বদলাতে যাচ্ছে। এবার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নির্ভর নয়, বরং শূন্য পদ অনুযায়ী সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে, যা হবে বিসিএসের ধাঁচের।

নতুন বিধিমালা: সরাসরি নিয়োগ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া

সরকার ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০২৫’–এর খসড়া তৈরি করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া শেষ করে খসড়াটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি গেজেটে প্রকাশিত হবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৮ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ১৬৪টি। এতদিন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল ছিল। শিক্ষক হতে হলে প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হতো, তারপর এনটিআরসিএ শূন্য পদে আবেদন নিয়ে নিয়োগের সুপারিশ করত।

নিয়োগের নতুন ধাপ: নির্বাচনী ও মৌখিক পরীক্ষা

নতুন পদ্ধতিতে প্রার্থীরা প্রথমে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হবেন। নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর নির্ধারণ করবে কর্তৃপক্ষ।

শূন্য পদের দ্বিগুণ প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

মৌখিক পরীক্ষা ২০ নম্বরের। উভয় ধাপে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

চূড়ান্ত ফলাফলে শূন্য পদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ প্রার্থীও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

উত্তীর্ণদের তিন বছরের মেয়াদি সনদপত্র দেওয়া হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতামত

বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধানরা নতুন পদ্ধতিকে সময়োপযোগী বলছেন। দীর্ঘসূত্রতা, সুপারিশ বা প্রভাব খাটানোর অভিযোগ কমবে। যোগ্য শিক্ষকেরাই এখন নিয়োগ পাবেন।

এক কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “নতুন পদ্ধতি চালু হলে অন্তত শূন্য পদেই শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত হবে। এতে শিক্ষক সংকটও অনেকটাই কমবে।”

প্রার্থীদের উদ্বেগ ও পরামর্শ

কিছু প্রার্থী বয়সসীমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৩৫ বছরের বয়সসীমা থাকায়, বিজ্ঞপ্তি দেরি হলে অনেকেই আবেদন করতে পারবেন না। তবে তারা আশা করছেন নতুন পদ্ধতি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষকেরা সুযোগ পাবে।

তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নিয়োগ

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করা হবে। এতে মামলা–সংক্রান্ত জটিলতা কমবে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

FAQ:

প্রশ্ন: নতুন শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি কীভাবে হবে?

উত্তর: শূন্য পদ অনুযায়ী সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নির্বাচনী পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে।

প্রশ্ন: বয়সসীমা কত?

উত্তর: ৩৫ বছর। তবে বিজ্ঞপ্তি দেরি হলে অনেক প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।

প্রশ্ন: নতুন বিধিমালা কখন কার্যকর হবে?

উত্তর: আইন মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর গেজেটে প্রকাশিত হলে কার্যকর হবে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ