ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

বিপিএল ফিক্সিং: সন্দেহের তালিকায় জাতীয় দলের ৪ তারকা ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৯ ২১:৪৩:১৪
বিপিএল ফিক্সিং: সন্দেহের তালিকায় জাতীয় দলের ৪ তারকা ক্রিকেটার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বিদ্ধ। সূত্রমতে, বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার এবং একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে এবং একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন এ বিষয়ে শক্ত প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।

অতীতে মোহাম্মদ আশরাফুল এবং সাকিব আল হাসানের মতো তারকাদের ফিক্সিং-সম্পর্কিত ঘটনা থেকে দেশের ক্রিকেট শিক্ষা নেবে বলে আশা করা হলেও, নতুন এই অভিযোগগুলো প্রমাণ করে যে সেই কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে।

অভিযোগের কেন্দ্রে যারা

ভিডিও বার্তাটিতে সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করা হলেও, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দেওয়া হয়েছে যা নির্দিষ্ট ক্রিকেটারদের দিকে ইঙ্গিত করে।

সাবেক জাতীয় দলের পেসার: একজন সাবেক পেসার, যিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

আলোচিত স্পিনার: জাতীয় দলের একজন খ্যাতিমান স্পিনারের নামও তালিকায় রয়েছে। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের নিয়মিত আউট করার জন্য পরিচিত। তার একটি বিশেষ উইকেট উদযাপনের ভঙ্গি একসময় দেশজুড়ে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছিল।

ঢাকা ক্যাপিটালসের স্পিনার: ঢাকা ক্যাপিটালসের একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার দলের একজন জুনিয়র ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলে প্রথমে তিনি এড়িয়ে যান। পরে চাপের মুখে এসে প্রায় আধা ঘণ্টা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেন।

জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান: সম্প্রতি জাতীয় দলের 'এ' দলের হয়ে খেলা একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যানও এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভূমিকা

সূত্রমতে, শুধু ক্রিকেটাররাই নন, তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নামও ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছে। দলগুলো হলো ঢাকা, রাজশাহী এবং সিলেট। বিশেষ করে ঢাকা ক্যাপিটালসের সঙ্গে দেশের বিনোদন জগতের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের সম্পৃক্ততা দলটিকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিল। এত বড় তারকা এবং স্বনামধন্য ব্র্যান্ড যুক্ত থাকা সত্ত্বেও দলটির ব্যবস্থাপনায় এমন কর্মকাণ্ড কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিসিবির গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশন সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। এই ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিকে আবারও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ