ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

কম খরচে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর নতুন পদক্ষেপ সরকারের

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৪:১৩:১০
কম খরচে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর নতুন পদক্ষেপ সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন এবং প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কম খরচে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর জন্য একটি নতুন চুক্তির খসড়া চূড়ান্তকরণ এবং মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হওয়া কর্মীদের পাঠানোর নতুন উদ্যোগ।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

ড. নজরুল জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা অত্যন্ত কম খরচে এবং নিরাপদে সেখানে যেতে পারবেন। তিনি বলেন, "এই চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে এবং এখন শুধু স্বাক্ষরের তারিখ নির্ধারণের আলোচনা চলছে।" এটি প্রবাসী কর্মীদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় যে, গত বছরের তুলনায় এই বছর রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে। ড. নজরুল এটিকে একটি "বিগ নাম্বার" বা বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, পূর্বে যে ১৭,০০০ কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের মধ্য থেকে প্রথম ধাপে ৮,০০০ কর্মীকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় (বোয়েসেল-এর মাধ্যমে) পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে তাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা বা একাধিকবার প্রবেশের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভিসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

ড. আসিফ নজরুল জোর দিয়ে বলেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য বা আরব আমিরাত-কেন্দ্রিক না রেখে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)

প্রশ্ন ১: সৌদি আরবের সাথে নতুন চুক্তিটি কী সম্পর্কিত?

উত্তর: এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কম খরচে ও নিরাপদে সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে।

প্রশ্ন ২: মালয়েশিয়ায় যারা যেতে পারেননি, তাদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হওয়া ১৭,০০০ কর্মীর মধ্যে প্রথম ধাপে ৮,০০০ জনকে সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল-এর মাধ্যমে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রশ্ন ৩: রেমিট্যান্স প্রবাহে কী পরিবর্তন এসেছে?

উত্তর: গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক খবর।

প্রশ্ন ৪: মালয়েশিয়ায় কর্মরত কর্মীদের জন্য নতুন কোনো সুবিধা চালু হয়েছে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী তাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ