ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২

খসড়া মার্জিন ঋণ নীতিমালা: একাধিক বিধানে আপত্তি, পরিবর্তনে আলোচনার দাবি

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ১০:৪৭:২৪
খসড়া মার্জিন ঋণ নীতিমালা: একাধিক বিধানে আপত্তি, পরিবর্তনে আলোচনার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রস্তাবিত নতুন মার্জিন ঋণ নীতিমালার কয়েকটি বিধান নিয়ে আপত্তি তুলেছে শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফোর্সড সেল, বিনিয়োগকারীর যোগ্যতা এবং ঋণের ন্যূনতম সীমার মতো বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনার দাবি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে জরুরি আলোচনার প্রস্তাব করেছে ব্রোকার, ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকাররা।

এই উদ্বেগগুলো তুলে ধরতেই সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) ডাকে শীর্ষ ৩০টি ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে মিলিত হন। তাদের মতে, খসড়াটি বর্তমান রূপে কার্যকর হলে তা বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, মার্জিন নীতিমালার সংস্কার একটি বহুদিনের দাবি এবং এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, "খসড়ার কিছু বিষয় নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা বাস্তবায়নে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।" তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, ব্রোকারদের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকাররাও আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছাতে আগ্রহী।

যেসব বিষয়ে মূল আপত্তি

ব্রোকাররা খসড়াটির এক ডজনেরও বেশি বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, যার মধ্যে প্রধান তিনটি হলো:

১. দ্রুত শেয়ার বিক্রির বাধ্যবাধকতা: খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের মান কমে ‘বি’ বা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে গেলে মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সেই শেয়ার বিক্রি করতে হবে। ব্রোকারদের মতে, এই সময়সীমা অবাস্তব এবং এটি বাজারে কৃত্রিম বিক্রির চাপ তৈরি করবে।

২. অবসরপ্রাপ্তদের ঋণ না দেওয়া: প্রস্তাবিত নীতিমালায় অবসরপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। ব্রোকাররা এই শর্ত শিথিল করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

৩. বিনিয়োগের সীমা বৃদ্ধি: মার্জিন ঋণের জন্য গত এক বছরে গড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে। ব্রোকাররা এই সীমা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন।

বিএসইসি ‘মার্জিন বিধিমালা (রহিত), ২০২৫’-এর খসড়াটি মতামতের জন্য প্রকাশ করেছে এবং আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে মতামত জানাতে বলেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্র, গৃহিণী এবং যাদের নির্দিষ্ট মাসিক আয় নেই, এমন অবসরপ্রাপ্তদের মার্জিন ঋণের বাইরে রাখার প্রস্তাবটি মূলত সীমিত আর্থিক সক্ষমতার বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্যই করা হয়েছে।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ