ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

শিক্ষার্থীদের জন্য দারুন সুখবর : ৩ ব্যাংক দিচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি, জেনেনিন কিভাবে পাবেন

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১০:৫৫:৩৮
শিক্ষার্থীদের জন্য দারুন সুখবর : ৩ ব্যাংক দিচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি, জেনেনিন কিভাবে পাবেন

বাংলাদেশের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর! বর্তমানে মাত্র তিনটি ব্যাংক নিয়মিতভাবে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে — রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, এবং বেসরকারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল)।

একসময় দেশের অনেক ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি দিত, কিন্তু কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে লোকসান, অস্থিরতা ও সিএসআর বাজেট কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ ব্যাংক এ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে। তবে এই তিন ব্যাংক এখনও মেধাবীদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি

রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংক প্রতিবছর “সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি” নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি চালায়। প্রাপক: দরিদ্র ও মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থী সংখ্যা: এইচএসসি পর্যায়ে ৫০০ জন, স্নাতক পর্যায়ে ৩৫০ জন বৃত্তি: এককালীন ১০,০০০ টাকা

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

অনলাইন আবেদন ফরম (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুপারিশসহ)

অধ্যয়ন সনদ

ট্রান্সক্রিপ্ট ও নাগরিকত্ব সনদ

জন্ম নিবন্ধন/এনআইডি

অভিভাবকের আয় সংক্রান্ত সনদ

মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা তৃতীয় লিঙ্গ হলে প্রমাণপত্র

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি

“শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন” প্রতিবছর প্রায় ৪৫০–৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়। সুবিধা: মাসিক বৃত্তি + এককালীন বই ও পোশাক সহায়তা

যোগ্যতা:

শহরে: বিজ্ঞান বিভাগে GPA 5.0, অন্য বিভাগে GPA 4.8

গ্রামে: বিজ্ঞান বিভাগে GPA 4.8, অন্য বিভাগে GPA 4.5

কাগজপত্র:ছবি, ট্রান্সক্রিপ্ট, টেস্টিমোনিয়াল, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ভর্তি রশিদ, আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন/এনআইডি, পিতা-মাতার এনআইডি, আয়ের সনদ, মৃত্যুসনদ (যদি প্রযোজ্য) ইত্যাদি।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি

ডিবিবিএল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বৃত্তি কর্মসূচি। অগ্রাধিকার: গ্রামীণ ও পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী সুবিধা: মাসিক বৃত্তি + বার্ষিক বই ও পোশাক ভাতা

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

এইচএসসি/সমমান নম্বরপত্র

প্রশংসাপত্র

ভর্তি প্রমাণপত্র

নির্দেশনা:

পিতা-মাতার বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার বেশি হলে আবেদন অগ্রহণযোগ্য।

মিথ্যা তথ্য দিলে আবেদন বাতিল।

আগে অন্য ব্যাংক থেকে বৃত্তি পাওয়া থাকলে আবেদন করা যাবে না।

শিক্ষাবিদদের মত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন,

“শিক্ষা খাতে সিএসআর ব্যয় কমানো মানে শিক্ষার প্রতি অবহেলা। ব্যাংকগুলোর উচিত বৃত্তি কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত করা এবং তদারকি জোরদার করা।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ