ঢাকা, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

পে স্কেল: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন পে কমিশনের চেয়ারম্যান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৯:৫১:৫১
পে স্কেল: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুখবর দিলেন পে কমিশনের চেয়ারম্যান

নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়ন নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যকার আলোচনা ছিল ‘ফলপ্রসূ’। তবে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, দুঃখের বিষয় হলো সব সচিব আলোচ্য সভায় উপস্থিত হননি।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী নতুন সুপারিশ তৈরি করতে গত ২৭ জুলাই সরকার কর্তৃক এই বেতন কমিশন গঠিত হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, অর্থলয়ী প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যই নতুন সুপারিশমালা তৈরি করা হবে।

সোমবার (গতকাল) বিকালে জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে পে কমিশনের প্রধান (প্রেসিডেন্ট) জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সচিবদের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে আলোচনা চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চেয়ারম্যান খান চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, আলোচনা পর্ব সমাপ্তির পর যত দ্রুত সম্ভব তারা প্রতিবেদনটি সরকারের কাছে দাখিল করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন।

অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ সূত্র মারফত জানা গেছে, পে কমিশন তাদের সুপারিশমালা প্রণয়নের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে ফেলেছে। আগামী সপ্তাহে সচিবদের মতামত গ্রহণ করার পর কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির দিকে অগ্রসর হবে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেটি জমা দেওয়া হতে পারে।

কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ‘আল্টিমেটাম’

কমিশনের এই সম্ভাব্য দীর্ঘসূত্রিতার বিপরীতে কর্মচারী সংগঠনগুলো কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির রবিবার (২৩ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কর্মচারীরা অধীর আগ্রহে নতুন পে স্কেলের জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি স্পষ্ট করে জানান, কমিশন চাইলে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সুপারিশ জমা দিতে পারে। অন্ততপক্ষে একটি সারসংক্ষেপ হলেও বেধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে জমা দেওয়া উচিত। অন্যথায় কর্মচারীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবেন।

সংগঠনের সভাপতি আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কর্মচারীরা এখন ঐক্যবদ্ধ এবং যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি কমিশনকে সময় দিচ্ছেন এবং এই সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দাবি জানান। বাদিউল কবিরের হুঁশিয়ারি, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে যা কমিশনকে এক বছরের কাজ মাত্র এক সপ্তাহে করতে বাধ্য করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হয়, তবে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আমিনুল ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ