ঢাকা, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

চাকরির পরীক্ষায় জা'লি'য়া'তি: কানে বিশেষ ডিভাইস, বারবার কাশি

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৫ ১৬:৪৭:০২
চাকরির পরীক্ষায় জা'লি'য়া'তি: কানে বিশেষ ডিভাইস, বারবার কাশি

কাশি দিয়ে ফাঁস: খাদ্য পরিদর্শক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী আটক

দিনাজপুর শহরের কসবা অঞ্চলের কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্রে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদে লিখিত পরীক্ষার সময় এক চাকরিপ্রার্থীকে জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরীক্ষার হলে তার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করে কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে দুটি গোপন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত পরীক্ষার্থী হলেন কৃষ্ণকান্ত রায়, যিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি স্নাতক শেষ করা এই যুবক দিনাজপুরের ফকিরপাড়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন।

গেঞ্জিতে গোপন ডিভাইস, কানে বিশেষ সংযোগ

পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানান, কৃষ্ণকান্ত রায় পরীক্ষার হলে অস্বাভাবিকভাবে বারবার কাশি দিচ্ছিলেন। এই আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে দ্রুত তল্লাশির আওতায় আনা হয়। তল্লাশির পর তার কাছ থেকে যে ডিভাইসগুলো পাওয়া যায়, তার মধ্যে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তার কানে সংযুক্ত ছিল এবং অন্য ডিভাইসটি তার পরিহিত গেঞ্জির ভেতরে লুকানো ছিল। এই যোগাযোগ যন্ত্রগুলির মাধ্যমেই তিনি অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করছিলেন। জালিয়াতির দায়ে তাকে তৎক্ষণাৎ আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় কৃষ্ণকান্ত রায় স্বীকার করেন যে, তিনি লিখিত পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য ঢাকার একটি চক্রের সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে জড়িত সেই চক্রের কাছ থেকেই তিনি এই ডিভাইসগুলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিতে আসেন।

কাশির রহস্য: বারবার সংকেত দিতে গিয়ে ধরা

আটককৃত যুবক জানান, ডিভাইসটির অপর প্রান্তে থাকা চক্রটি তাকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, যদি প্রশ্নপত্রের সেট ‘পদ্মা’ হয়, তবে যেন তিনি কাশির মাধ্যমে সংকেত দেন। সংকেত দেওয়ার এই চেষ্টার সময় বারবার কাশি দিতে গিয়েই তিনি কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন এবং ধরা পড়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল যে, ওই কেন্দ্রে একজন পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির চেষ্টা করছেন। তবে পরীক্ষার্থীর কক্ষ বা পরিচয় অস্পষ্ট ছিল। বিশেষ নজরদারির মাধ্যমে ১০১ নম্বর কক্ষের ওই শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর তল্লাশি চালানো হলে জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ