 
                                MD. Razib Ali
Senior Reporter
মাত্র একটি নথির জোরেই বেদখল জমি ফিরে পাবেন আপনি!
 
                            অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বহু মানুষ নিজেদের জন্মগত অধিকার অর্থাৎ বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া পৈতৃক ভিটার দখল পেতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েন। বিশেষত যখন সেই সম্পত্তি ভাই-বোন বা কোনো আত্মীয়ের অবৈধ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মূল দলিলপত্রও হাতে থাকে না। এই শোচনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এখন একটি মাত্র সনদ এবং সুনির্দিষ্ট তিনটি আইনি প্রক্রিয়াই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে দখলদারকে জমি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা সম্ভব।
আমাদের দেশের উত্তরাধিকার আইন স্পষ্ট করে— পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সকল অবিভক্ত সম্পত্তির ওপর প্রতিটি সন্তানের সমান অধিকার সুরক্ষিত। সম্পত্তির দলিল, খতিয়ান বা নামজারি না থাকলেও এই আইনি অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।
দখলমুক্ত হয়ে নিজেদের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:
প্রথম সোপান: অতি জরুরি 'ওয়ারিশান সনদ' সংগ্রহ
দখলমুক্তির আইনি লড়াইয়ের শুরুটা করতে হবে 'ওয়ারিশান সনদ' সংগ্রহের মধ্য দিয়ে। এটি আপনার বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া জমির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে।
বিশেষ সতর্কতা: এই অতি জরুরি প্রমাণপত্রটিতে পরিবারের সকল উত্তরাধিকারী এবং সম্ভাব্য ওয়ারিশদের নাম যেন অন্তর্ভুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনার পরিচিত আত্মীয় এবং স্থানীয় মেম্বারদের সাক্ষী হিসেবে পেলে প্রক্রিয়াটি আরও মসৃণ হয়।
দ্বিতীয় সোপান: হারানো রেকর্ডপত্রের অনুসন্ধান ও উত্তোলন
যদি মূল ডকুমেন্ট আপনার কাছে না থাকে, তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। দ্রুত স্থানীয় ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে আপনার বাবার নাম ব্যবহার করে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করুন। প্রয়োজনে উপজেলা ভূমি অফিস অথবা জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম থেকেও সম্পত্তির সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করা সম্ভব।
তৃতীয় সোপান: বাটোয়ারা মামলার মাধ্যমে আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা
সংগৃহীত প্রমাণপত্র থাকা সত্ত্বেও যদি দখলিকৃত পক্ষ জমি হস্তান্তর করতে অনমনীয় হয়, তবে কালক্ষেপণ না করে একজন অভিজ্ঞ দেওয়ানি আইনজীবীর শরণাপন্ন হয়ে বাটোয়ারা (Partition) মামলা দায়ের করতে হবে।
আইনের দৃষ্টিতে, আদালত উত্তরাধিকারীর ন্যায্য হক ফিরিয়ে দিতে বাধ্য। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কেউ যদি এই প্রক্রিয়ায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে থাকে, তবে নতুন ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ অনুযায়ী এটি গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
রায় কার্যকর করার চূড়ান্ত পদক্ষেপ
নামজারি (মিউটেশন) সম্পন্ন:
আদালতে রায় আপনার পক্ষে এলেই সেই রায়ের কপি এবং জমির কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে দ্রুত নামজারির জন্য আবেদন করুন। এর মাধ্যমে সম্পত্তির মালিকানা আনুষ্ঠানিকভাবে এবং আইনত আপনার নামে নথিবদ্ধ হয়ে যাবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দখল বুঝে নেওয়া:
নামজারি সম্পন্ন হওয়ার পরও দখলদার ব্যক্তি যদি আদালতের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে জমি ছাড়তে না চায়, তবে শেষ উপায় হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন জানাতে হবে। “ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩”-এর ক্ষমতা বলে ম্যাজিস্ট্রেট ১৮০ দিনের সময়সীমার মধ্যে দখলদারকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে বাধ্য।
অর্থাৎ, একটি ওয়ারিশান সনদ এবং সুনির্দিষ্ট তিনটি ধাপে (মামলা, নামজারি ও ম্যাজিস্ট্রেট) বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার হারানো ন্যায্য সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। মনে রাখবেন, বর্তমান আইন দখলদারদের বদলে আপনার উত্তরাধিকারের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তানভির ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ব্যাপক হারে কমলো সোনার দাম, স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা
- নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুই ব্রোকারেজ হাউসের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল করল ডিএসই
- স্বর্ণের দাম আজকের বাজার ২০২৫
- আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি কত করে
- বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা মনোস্পুল বাংলাদেশের
- একযোগে ৮ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ইনটেকের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইজেনারেশনের লভ্যাংশ ঘোষণা
- 'জেড' ক্যাটাগরিরতে স্থানান্তার দুই কোম্পানির শেয়ার
- ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর এক কোম্পানির শেয়ার
- তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করলো ইসলামী ব্যাংক
- দেশ গার্মেন্টসের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ডমিনেজ স্টিলের ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ম্যাচ লাইভ দেখুন (live)
 
								 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                     
                    