ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

পে স্কেল: জানা গেল নবম জাতীয় বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন কবে

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৭ ১২:০৮:৪২
পে স্কেল: জানা গেল নবম জাতীয় বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন কবে

বহু প্রতীক্ষিত নবম জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা পাওয়া গেল। বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এই বৈঠকের পর কর্মচারী নেতা বাদিউল কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, তাদের আলোচনায় পে কমিশন কর্তৃক নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশমালা প্রস্তুত করা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের আগেই বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন (গেজেট) জারির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, আলাপ-আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং প্রস্তাবিত বেতন স্কেলে গ্রেড সংখ্যা হ্রাস করার বিষয়টি এজেন্ডায় ছিল। নবম বেতন স্কেলের ঘোষণা সংক্রান্ত সকল দাপ্তরিক কাজ ১৫ ডিসেম্বরের পূর্বে সম্পন্ন করার বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। কমিশন প্রধানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মচারীদের দাবিসমূহ বিবেচনা করা হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জোর চেষ্টা চলছে বলে বাদিউল কবির উল্লেখ করেন।

কমিশনের কার্যক্রমে গতি

গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন কাঠামো নির্ধারণের লক্ষ্যে এই কমিশন গঠিত হয়। তাদের কর্মপ্রক্রিয়া ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে। এর অংশ হিসেবে, কমিশন অক্টোবর মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চারটি ভিন্ন শ্রেণিতে (সাধারণ মানুষ, সরকারি কর্মচারী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং বিভিন্ন সমিতি) প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেটে জনগণের মতামত সংগ্রহ করে। এছাড়াও, সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কমিশন সচিবদের সাথে একটি কর্মশালাও সম্পন্ন করে।

বাস্তবায়নের সময়সীমা নিয়ে সতর্ক অর্থ উপদেষ্টা

বাস্তবায়নের সময়সীমা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন সুর শোনা গেছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে, বেতন কমিশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভালের জন্য একটি স্বতন্ত্র কমিটি কাজ করছে এবং তিনটি প্রতিবেদন হাতে আসার পর সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই কমিশন চূড়ান্ত করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার কেবল একটি কাঠামো প্রস্তুত করে দেবে, আর এর বাস্তবায়নের ভার বর্তাবে পরবর্তী সরকারের ওপর। ড. আহমেদ আরও যুক্ত করেন, বিগত আট বছর এই খাতে কোনো কাজ না হওয়ায় তারা উদ্যোগী হয়েছেন, তবে দেশের বাজেট এবং অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন খাতসমূহ বিবেচনায় রাখা জরুরি। তার মতে, পরবর্তী সরকার কর্তৃক এটি বাস্তবায়ন করা অযৌক্তিক হবে না।

কর্মচারীদের চরম সময়সীমা ও মহাসমাবেশের প্রস্তুতি

এই পটভূমিতে, কর্মচারী নেতারা তাদের দাবিতে অনড়। তারা বেতন কমিশনকে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত চরম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। যদি এই ডেডলাইন মিস হয়, তবে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। পে স্কেল কার্যকর করার দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় মহাসমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ