ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ মে ২৫ ২১:১২:৩৩
সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ,দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

বৃষ্টিভেজা উইকেটে সাবধানে শুরু করেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুস্কা গুনাতিলাকা। প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট হারাননি লঙ্কানরা।

ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত পেইসার শরিফুল বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। তরুণ এই পেইসারকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে মিড অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন পেরেরা। ১৫ বলে ১৪ রান করা লঙ্কান অধিনায়ককে ফিরিয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট পান শরিফুল।

ওয়ান ডাউনে নামা পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করেন গুনাতিলাকা। আট ওভার টেকে তাদের জুটি।

১৪তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ পয়েন্টে ধরা পড়েন এই লঙ্কান ওপেনার। ৪৬ বল খেলে ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেট হওয়া নিসাঙ্কাকে ফেরায় তামিম-সাকিব জুটি। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন ২০ রান করা নিসাঙ্কা।

এরপর কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন মেহেদী মিরাজ। ১৫ রান করা মেন্ডিস এলবিডাব্লিউ হন। মেন্ডিসের পরে ব্যাট করতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও এলবিডাব্লিউ হন। ২৫তম ওভারের চার নম্বর বলে তাকে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব। এরপর দাসুন শানাকা ও আগের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানো ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন মিরাজ। শানাকার ব্যাট থেকে আসে ১১। আর হাসারাঙ্গা ছয় রান করে বোল্ড হন এই অফ স্পিনারের বলে।

এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন আসেন বান্দারা। ১৫ রানে তার প্রচেষ্টার সমাপ্তি টানেন মুস্তাফিজ। ৩১ বল খেলেন তিনি।

এর আগে, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরির পরও ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংসে ৪৮ ওভার এক বলে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। দুজনকেই এলবির ফাঁদে ফেলেন লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরা। নিজের স্পেলের প্রথম বলে প্রথমে তামিমকে ফেরান। যদিও তামিমকে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে সাজঘরে পাঠান তিনি। ৬ বলে ১৩ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

একই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন তিনে ব্যাট করতে নামা সাকিবকে। চামিরার মিডল স্টাম্পে থাকা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। তাতে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ না নিয়ে ফিরে যান সাকিব। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিডল স্টাম্পের উপরের দিকে লাগতো বলটি।

এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে ডুবে থাকা লিটন এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন। দলীয় ৪৯ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দুই বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ২৫ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরে গেছেন লম্বা সময় পর একাদশে ফেরা সৈকতও।

দলীয় ৭৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাধেন মাহমুদউল্লাহ। ওই জুটিতে বড় সংগ্রহের আশা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ পারলেন না লম্বা সময় থিতু হতে। ৪১ রানে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে ৮৭ রানের ওই জুটি। এরপর শেষের দিকের ক্রিকেটারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানের পুঁজি এনে দেন মুশফিক।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ