ঢাকা, সোমবার, ৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

Zakaria Islam

Senior Reporter

বিএনপি আগামীতে স্বৈরশাসন উপহার দিতে পারে: পিনাকী ভট্টাচার্য

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪পডেট নিউজ
২০২৫ মে ০৫ ১৯:৩৯:৩৬
বিএনপি আগামীতে স্বৈরশাসন উপহার দিতে পারে: পিনাকী ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তার মতে, দলটি যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তবে দেশের রাজনীতিতে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এই মন্তব্যে তিনি রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

বাংলাদেশে ভারত-পন্থি সরকার: একটি নতুন চিন্তা

বিএনপির বর্তমান অবস্থান নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, "বিএনপির কিছু নেতা আমাকে কখনো হাসিনার পক্ষের লোক মনে করেছেন, আবার কখনো আমাকে জামাতের টাকার মাধ্যমে বিএনপির বিরুদ্ধে বলার অভিযোগ এনেছেন।" তবে, তিনি নিজেকে কখনোই বিএনপির পলিটিক্যাল অপোনেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন না।

তার মতে, বিএনপির নেতাদের উচিত রাজনৈতিক বিরোধীদের বুদ্ধিমত্তার সাথে মোকাবিলা করা। পিনাকী বলেন, "রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবে, কিন্তু সেটা যদি উপযুক্তভাবে না করা হয়, তাহলে দলের জন্য ক্ষতি হবে।"

ভারতের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক: পিনাকী কি বলছেন?

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, "যখন মুজিব, জিয়া, এরশাদ বা হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তাদের প্রত্যেকের ভারত সম্পর্কের কোনো না কোনো চিহ্ন ছিল।" তিনি বলেন, "এটি বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হতে পারে, কারণ ভারত বাংলাদেশকে কখনোই নিজের সমকক্ষ মনে করেনি।"

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ যদি ভারতের প্রতি অতিরিক্ত বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখায়, তাহলে জনগণ সরকারের প্রতি বিরোধী মনোভাব পোষণ করবে, যা দেশের জন্য বিপদজনক হতে পারে।"

স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার শঙ্কা

পিনাকী আরও বলেন, "বিএনপি যদি আবারও ভারত-প্রধান পন্থা গ্রহণ করে, তাহলে তাদের শাসন ব্যবস্থায় স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।" তিনি মনে করেন, "ভারতের আগ্রাসী নীতি বাংলাদেশের জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং তার ফলস্বরূপ দেশের গণতান্ত্রিক ধারা ভেঙে পড়বে।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "বিএনপি কি সত্যিই ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, না কি তারা আবারও ভারতের পুতুল হয়ে যাবে?"

বাংলাদেশের সীমান্ত রাজনীতি: বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিপদ?

পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত সম্পর্কের বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, "ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দিয়েছে, কিন্তু এর পেছনে তাদের আসল উদ্দেশ্য কি? তারা কি বাংলাদেশকে ভারতীয় রাজনীতির অংশ বানাতে চায়?"

তিনি আরও বলেন, "ভারত বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ বাংলাদেশের মুসলিম জনগণের বড় অংশ ভারতের জন্য একটি 'প্রতিরোধ' হিসেবে দেখা দেয়।"

ভারতের বিরুদ্ধে বিএনপির ভূমিকা: জনগণের আস্থা কোথায়?

পিনাকী ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, "বিএনপি যদি আবারও ভারতের পায়ের দিকে মাথা নত করে বসে থাকে, তাহলে দেশের রাজনীতির জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।" তিনি মনে করেন, বিএনপি যদি ভারতের কাছে মাথা নত করে, তবে জনগণের আস্থা হারিয়ে যাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, "একটি দল যখন দেশের জনগণের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে এবং বাইরের শক্তির কাছে নত হয়, তখন সেটি স্বৈরাচারে পরিণত হতে পারে।"

পিনাকী ভট্টাচার্য নিজের বক্তব্যে দেশের ভবিষ্যতের জন্য শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, বিএনপি যদি ভারতের প্রভাব শিকার হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি গণতন্ত্রের পথে চলবে না, বরং স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাবে।

রাজনীতিবিদদের উচিত, দেশের স্বার্থের কথা ভাবা এবং জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। ভারত কিংবা অন্য কোনো বিদেশী শক্তির কাছে নিজেদের হাতপুতুল না বানিয়ে, দেশপ্রেম এবং জাতীয় স্বার্থে কাজ করা প্রয়োজন।

FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর):

প্রশ্ন: পিনাকী ভট্টাচার্য কেন বিএনপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন?

উত্তর: পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করেন বিএনপি ভারত পন্থী মনোভাব গ্রহণ করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত স্বৈরশাসন দিকে এগিয়ে যাবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কী?

উত্তর: পিনাকী ভট্টাচার্য মনে করেন বিএনপি যদি ভারত পন্থী হয়, তাহলে বাংলাদেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

প্রশ্ন: পিনাকী ভট্টাচার্য কী ধরনের রাজনীতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন?

উত্তর: পিনাকী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বিএনপির ভারত পন্থী রাজনীতির কারণে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পারে।

জামিরুল ইসলাম/

আপার জন্য বাছই করা কিছু নিউজ