ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ০৬ ১৪:২৫:২০
খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডনের ধূসর আকাশ পেরিয়ে বাংলাদেশের মাটি ছুঁলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি অবতরণ করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সঙ্গে ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। বিমানবন্দরের নিরব রানওয়েতে যেন ইতিহাস নিজেই অপেক্ষায় ছিল এক অধ্যায়ের নতুন মোড় ঘুরে দেখার।

এমন এক প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম তার অনুভূতির ভাষা খুঁজে পেয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লেখেন:

“বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে স্বাগতম। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র-জনতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন দিয়েছে, সেই চেতনা সামনে রেখে তিনি এবং তার দল গণতন্ত্র রক্ষায় আপসহীনভাবে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবেন। তাঁর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।”

সারজিস আলমের এই বক্তব্যে ছিল না শুধুই শুভেচ্ছা; ছিল এক আহ্বান, ছিল সময়কে স্মরণ করে ভবিষ্যতের পথচলায় দায়িত্বশীলতার অনুরণন। তিনি যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন, কোনো নেতার ফেরাই কেবল ব্যক্তিগত সুখবর নয়—তা হতে পারে জাতীয় রাজনীতির গতিপথে নতুন পালক।

খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন তাই নিছক ফেরার গল্প নয়। এটি এক প্রতীকী প্রত্যাবর্তন—যেখানে স্বাস্থ্য আর রাজনীতি, প্রত্যাশা আর ইতিহাস, সবকিছুই এক সুতোয় গাঁথা। রাজনৈতিক অঙ্গন যেমন তাকিয়ে আছে তার ভূমিকার দিকে, তেমনি সাধারণ মানুষও ভাবছে—পুরনো অভিজ্ঞতা আর নতুন বাস্তবতায় কী বার্তা নিয়ে এসেছেন 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' খ্যাত এই নেত্রী?

সময় বলবে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তা কতটা, তবে আপাতত সবার কামনা—তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু। আর সারজিস আলমের মতো অনেকে আশাবাদী, এই প্রত্যাবর্তন হবে গণতন্ত্রের পথে এক নতুন যাত্রা।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ