ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ এপ্রিল ৩০ ১৮:২০:৩৫
১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানি ৩১ মার্চ, ২০২৫ সমাপ্ত প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কে কত আয় করল বা লোকসান গুণল, তা জানাতে নিচে তুলে ধরা হলো কোম্পানিভিত্তিক বিস্তারিত:

মুন্নু এগ্রো

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে (৪৬ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সায়, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১১১ টাকা ৬১ পয়সা।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স

প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা (গত বছর ৭২ পয়সা)। শেয়ারপ্রতি ক্যাশফ্লো ১২ পয়সা এবং এনএভিপিএস ২৩ টাকা ৪৭ পয়সা।

ঢাকা ডাইং

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা, যা আগের বছরের ৩৫ পয়সা থেকে বেড়েছে। ৯ মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭২ পয়সায়। এনএভিপিএস ছিল ২৭ টাকা ৮২ পয়সা।

মুন্নু ফেব্রিকস

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে—২ পয়সা। ৯ মাসেও একই অবস্থানে (৯ পয়সা)। এনএভিপিএস ২৫ টাকা ৪৪ পয়সা।

কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ১৭ পয়সা (আগে ছিল ২৪ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৫৭ পয়সা, আগের বছর ছিল ৫৮ পয়সা। এনএভিপিএস ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা।

তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ১ টাকা ৭০ পয়সা (আগে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা)। ৯ মাসে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা আয় করেছে কোম্পানিটি। এনএভিপিএস ১০০ টাকা ৪৯ পয়সা।

নাভানা সিএনজি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত—৩ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস ৯ পয়সা (আগে ৮ পয়সা)। এনএভিপিএস ৩০ টাকা ৭৯ পয়সা।

ফু-ওয়াং সিরামিক

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে ৪ পয়সায় নেমে এসেছে (আগে ছিল ৬ পয়সা)। এনএভিপিএস ১১ টাকা ৯৮ পয়সা।

সায়হাম কটন

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে ২৯ পয়সা হয়েছে (আগে ৩৫ পয়সা)। তবে ৯ মাসে বেড়ে হয়েছে ৮৭ পয়সা। এনএভিপিএস ৩৮ টাকা ১২ পয়সা।

একমি পেস্টিসাইডস

তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৭২ পয়সা লোকসান করেছে (আগে ছিল ৩ পয়সা)। ৯ মাসে লোকসান বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। এনএভিপিএস ১৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

জিবিবি পাওয়ার

এবার প্রথমবারের মতো আয় করেছে কোম্পানিটি—৯ মাসে ইপিএস ১০ পয়সা (আগে ৬২ পয়সা লোকসান)। এনএভিপিএস ২০ টাকা ৩২ পয়সা।

আরামিট পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়ে ৬৩ পয়সা হয়েছে (আগে ৫২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৪৩ পয়সা লোকসান। এনএভিপিএস ১৩১ টাকা ১৫ পয়সা।

সায়হাম টেক্সটাইলস

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা (আগে ২২ পয়সা)। ৯ মাসে বেড়ে হয়েছে ৪৭ পয়সা (আগে ৪৪ পয়সা)। এনএভিপিএস ৪৩ টাকা ৬৮ পয়সা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা (আগে ২৯ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৫৩ পয়সা (আগে ৯১ পয়সা)। এনএভিপিএস ১৬ টাকা ২৪ পয়সা।

আরডি ফুড (রংপুর ডেয়ারি)

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৭ পয়সা (আগে ৫২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ১ টাকা ১৩ পয়সা (আগে ১ টাকা ২৯ পয়সা)। এনএভিপিএস ১৭ টাকা ৪৪ পয়সা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২ টাকা ১৫ পয়সা (আগে ২ টাকা ১২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৭ টাকা ৯৭ পয়সা (আগে ৭ টাকা ৮৮ পয়সা)। এনএভিপিএস ৬০ টাকা ২৬ পয়সা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভালো পারফরম্যান্স করেছে (যেমন: অলিম্পিক, আরামিট, তমিজ উদ্দিন), আবার কয়েকটি কোম্পানির আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বা লোকসানে পড়েছে (যেমন: ঢাকা ডাইং, একমি পেস্টিসাইডস)। বিনিয়োগকারীদের জন্য এই তথ্য বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ