ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

৪১ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির তালিকা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ৩০ ২৩:৫০:৫৪
৪১ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে একের পর এক কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, যা কোম্পানির বর্তমান আর্থিক অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করছে। এই প্রান্তিকের ফলাফলগুলির মধ্যে কিছু কোম্পানি লাভের সীমানায় প্রবেশ করেছে, আবার কিছু কোম্পানি লোকসান কমিয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে এই ফলাফলগুলো শেয়ারবাজারের অবস্থান ও কোম্পানির সামর্থ্য সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক ফলাফল এবং তাদের ভবিষ্যৎ চিত্র।

খুলনা পাওয়ার: লাভের সীমানায় ঢোকা

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) ৩১ মার্চ, ২০২৪ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে একটি চমকপ্রদ পরিবর্তন দেখিয়েছে। যেখানে আগের বছর একই সময়ে কোম্পানি লোকসান দেখেছিল, এবার তারা ৫ পয়সা শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে। পুরো ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩–মার্চ ২০২৪) কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ৬ পয়সা লোকসান। এর ফলে শেয়ারবাজারে তাদের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এনএভিপিএস (শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য) ১৮ টাকা ৮৭ পয়সা হওয়া তাদের মজবুত অবস্থানকে প্রমাণ করছে।

লিগ্যাসি ফুটওয়্যার: সংকটের মধ্যে টিকে থাকার লড়াই

অন্যদিকে, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার তাদের তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা খারাপ ফলাফল দিয়েছে। ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৫ পয়সা, আগের বছর যেখানে লোকসান ছিল ৭ পয়সা। যদিও তিন প্রান্তিকের মোট ইপিএস লোকসান ১৪ পয়সায় সীমাবদ্ধ ছিল, তবে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১১ টাকা ২ পয়সা থেকে কোম্পানির ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু আশার আলো দেখায়।

আরও পড়ুন:

কর্মকর্তাদের জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যানের নতুন নির্দেশনা

একসঙ্গে ২২ কর্মকর্তা বরখাস্ত: শেয়ারবাজারে নজিরবিহীন পদক্ষেপ

পুঁজিবাজারে দুর্নীতি! রাশেদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ

ওইম্যাক্স ইলেকট্রোডস: পতনের মুখে পড়লেও উজ্জ্বল সম্ভাবনা

ওইম্যাক্স ইলেকট্রোডস ৩১ মার্চ, ২০২৫ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কম ইপিএস রিপোর্ট করেছে—শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২০ পয়সা, যেখানে আগের বছরে এটি ছিল ৩৭ পয়সা। তবে, ৯ মাসে তাদের মোট ইপিএস ৬৫ পয়সা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছর ছিল ৪৬ পয়সা। তাদের নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩ টাকা ৮৯ পয়সা, যা কোম্পানির বাজারে অবস্থানকে কিছুটা স্থিতিশীল রাখছে।

হা-ওয়েল টেক্সটাইল: চমকপ্রদ উন্নতি

হা-ওয়েল টেক্সটাইল লিমিটেড তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে একটি অসাধারণ সাফল্য প্রদর্শন করেছে। ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৮৬ পয়সা, যা আগের বছরের ২৯ পয়সা থেকে অনেক বেশি। তিন প্রান্তিকের মোট ইপিএস ৩ টাকা ০৪ পয়সা, যা পূর্ববর্তী বছর ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২ টাকা ৬৩ পয়সা—এটি তাদের দৃঢ় আর্থিক ভিত্তি ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার আভাস দিচ্ছে।

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস: গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি ঘটেছে লোকসানে

এ বছর জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার প্রতি লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটির মোট লোকসান হয়েছে ১৭ পয়সা, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৩ টাকা ৪৩ পয়সা, যা কিছুটা আশাব্যঞ্জক।

ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ: শক্তিশালী লাভের দিকে

ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৮ পয়সা আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬ পয়সা লোকসান। এটি তাদের চলতি বছরের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত। ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৪০ পয়সা, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) এখন ৩২ টাকা ৮৩ পয়সা।

গোল্ডেনসন লিমিটেড: বড় লোকসান, কঠিন পথ

গোল্ডেনসন লিমিটেডের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৭৪ পয়সা সমন্বিত লোকসান হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ পয়সা। ৯ মাসে তাদের শেয়ার প্রতি সমন্বিত লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) এখন ১৬ টাকা ৮০ পয়সা, তবে তাদের ভবিষ্যৎ আয়ের সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

কনফিডেন্স সিমেন্ট: আয় বৃদ্ধির ধারায়

কনফিডেন্স সিমেন্ট তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮৮ পয়সা আয় করেছে, যদিও এটি আগের বছরের একই সময়ের ৩ টাকার তুলনায় কিছুটা কম। তবে ৯ মাসে তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯ টাকা ৬৭ পয়সা, যা গত বছরের ৮ টাকা ৬ পয়সা থেকে বেশ উন্নত। তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) এখন ৮৩ টাকা ৪৪ পয়সা, যা কোম্পানির স্থিতিশীলতার দিকটিও প্রদর্শন করে।

মুন্নু এগ্রো

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে (৪৬ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সায়, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৬৩ পয়সা। নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১১১ টাকা ৬১ পয়সা।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স

প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮০ পয়সা (গত বছর ৭২ পয়সা)। শেয়ারপ্রতি ক্যাশফ্লো ১২ পয়সা এবং এনএভিপিএস ২৩ টাকা ৪৭ পয়সা।

ঢাকা ডাইং

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা, যা আগের বছরের ৩৫ পয়সা থেকে বেড়েছে। ৯ মাসে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭২ পয়সায়। এনএভিপিএস ছিল ২৭ টাকা ৮২ পয়সা।

মুন্নু ফেব্রিকস

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে—২ পয়সা। ৯ মাসেও একই অবস্থানে (৯ পয়সা)। এনএভিপিএস ২৫ টাকা ৪৪ পয়সা।

কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ১৭ পয়সা (আগে ছিল ২৪ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৫৭ পয়সা, আগের বছর ছিল ৫৮ পয়সা। এনএভিপিএস ২৮ টাকা ৭৮ পয়সা।

তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ১ টাকা ৭০ পয়সা (আগে ছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা)। ৯ মাসে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা আয় করেছে কোম্পানিটি। এনএভিপিএস ১০০ টাকা ৪৯ পয়সা।

নাভানা সিএনজি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত—৩ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস ৯ পয়সা (আগে ৮ পয়সা)। এনএভিপিএস ৩০ টাকা ৭৯ পয়সা।

ফু-ওয়াং সিরামিক

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে ৪ পয়সায় নেমে এসেছে (আগে ছিল ৬ পয়সা)। এনএভিপিএস ১১ টাকা ৯৮ পয়সা।

সায়হাম কটন

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমে ২৯ পয়সা হয়েছে (আগে ৩৫ পয়সা)। তবে ৯ মাসে বেড়ে হয়েছে ৮৭ পয়সা। এনএভিপিএস ৩৮ টাকা ১২ পয়সা।

একমি পেস্টিসাইডস

তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৭২ পয়সা লোকসান করেছে (আগে ছিল ৩ পয়সা)। ৯ মাসে লোকসান বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ২ পয়সা। এনএভিপিএস ১৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

জিবিবি পাওয়ার

এবার প্রথমবারের মতো আয় করেছে কোম্পানিটি—৯ মাসে ইপিএস ১০ পয়সা (আগে ৬২ পয়সা লোকসান)। এনএভিপিএস ২০ টাকা ৩২ পয়সা।

আরামিট পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়ে ৬৩ পয়সা হয়েছে (আগে ৫২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৪৩ পয়সা লোকসান। এনএভিপিএস ১৩১ টাকা ১৫ পয়সা।

সায়হাম টেক্সটাইলস

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা (আগে ২২ পয়সা)। ৯ মাসে বেড়ে হয়েছে ৪৭ পয়সা (আগে ৪৪ পয়সা)। এনএভিপিএস ৪৩ টাকা ৬৮ পয়সা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা (আগে ২৯ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৫৩ পয়সা (আগে ৯১ পয়সা)। এনএভিপিএস ১৬ টাকা ২৪ পয়সা।

আরডি ফুড (রংপুর ডেয়ারি)

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৪৭ পয়সা (আগে ৫২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ১ টাকা ১৩ পয়সা (আগে ১ টাকা ২৯ পয়সা)। এনএভিপিএস ১৭ টাকা ৪৪ পয়সা।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ২ টাকা ১৫ পয়সা (আগে ২ টাকা ১২ পয়সা)। ৯ মাসে ইপিএস ৭ টাকা ৯৭ পয়সা (আগে ৭ টাকা ৮৮ পয়সা)। এনএভিপিএস ৬০ টাকা ২৬ পয়সা।

ইস্টার্ন ক্যাবল লিমিটেড

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রান্তিকে ইস্টার্ন ক্যাবল শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। নয় মাস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৭২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪১ টাকা ১৮ পয়সা।

বঙ্গজ লিমিটেড

এই প্রান্তিকে বঙ্গজের ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৯ পয়সা। কোম্পানিটির নিট সম্পদমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সায়।

জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯৪ পয়সা। তবে তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৫৪ পয়সা। ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৯ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৮ পয়সা।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড

এই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮২ পয়সা, আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি আয় করেছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য ৩৫ টাকা ২১ পয়সা।

তাল্লু স্পিনিং মিলস পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে তাল্লুর শেয়ার প্রতি লোকসান ১ টাকা ৪৩ পয়সা, আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৭১ পয়সায়।

জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড

এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস মাত্র ২ পয়সা লোকসানে নেমে এসেছে, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ১ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে হয়েছে ৬৩ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৩ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৭৭ পয়সা।

আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড

এই প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস কমে হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৮৪ পয়সা। তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭ পয়সায়, আগের বছর ছিল ২ টাকা ৪২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য হয়েছে ৩৬ টাকা ৭৮ পয়সা।

শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৬ পয়সা। তিন প্রান্তিকে আয় বেড়ে হয়েছে ৪৯ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল মাত্র ৯ পয়সা। ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক হলেও উন্নতি হয়েছে—মাইনাস ৮৭ পয়সা, আগের বছর ছিল মাইনাস ৩ টাকা ৮২ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৪৬ পয়সা।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৯ টাকা ৭৪ পয়সা। তিন প্রান্তিকে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ২৭ টাকা ২২ পয়সা। উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যাশ ফ্লো বেড়ে হয়েছে ১৪৯ টাকা ৩১ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল মাইনাস ১৪ টাকা ৩৫ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫৫ টাকা ১৮ পয়সা।

এমএল ডাইং অ্যান্ড টেক্সটাইল পিএলসি

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস অপরিবর্তিত থেকেছে ৩ পয়সায়। তিন প্রান্তিকে বেড়ে হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছর ছিল ৭ পয়সা। তবে ক্যাশ ফ্লো নেতিবাচক হয়েছে মাইনাস ৬৭ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩১ পয়সা। নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪৪ পয়সা।

লোকসান কমলেও এখনো পিছিয়ে সেন্ট্রাল ফার্মা

ওষুধ ও রসায়ন খাতের সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দেখিয়েছে ১০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটির মোট ইপিএস লোকসান ২৪ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২৯ পয়সা। উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্যাশফ্লো ১ পয়সায় উন্নীত হয়েছে, যেখানে আগের বছর ছিল শূন্য। মার্চ শেষে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮২ পয়সা।

তিতাস গ্যাস: লোকসানে ধস

জ্বালানি খাতের প্রধান কোম্পানি তিতাস গ্যাস তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩৯ পয়সা লোকসান করেছে। আগের বছর এই সময় লোকসান ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা। ৯ মাস শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫৮ পয়সায়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ গুণ বেশি। যদিও ক্যাশফ্লো বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ২ পয়সা (পূর্বে ছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা), তবু এ বিশাল লোকসান বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ। এনএভিপিএস ৮৮ টাকা ৭ পয়সা।

এস এস স্টিল: লাভ থেকে লোকসানে

প্রকৌশল খাতের এস এস স্টিল জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা লোকসান করেছে, যেখানে আগের বছর একই সময়ে লাভ হয়েছিল ৯ পয়সা। ৯ মাস শেষে লোকসান ৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে লাভ ছিল ১২ পয়সা। ক্যাশফ্লো কিছুটা কমেছে—৪ টাকা ৬ পয়সা, পূর্বে ছিল ৫ টাকা ৪১ পয়সা। এনএভিপিএস ২৩ টাকা ৭০ পয়সা।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস: নিম্নগামী ইপিএস

তৃতীয় প্রান্তিকে বিবিএসের ইপিএস ৫ পয়সা লোকসান, যেখানে আগের বছর লাভ ছিল ১৩ পয়সা। ৯ মাস শেষে লোকসান ৪৯ পয়সা, পূর্বে ছিল ২৭ পয়সা। তবে ক্যাশফ্লো বেড়ে হয়েছে ৪৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১৪ পয়সা। এনএভিপিএস ১১ টাকা ৩৭ পয়সা।

মেট্রো স্পিনিং: অব্যাহত ধস

বস্ত্র খাতের মেট্রো স্পিনিং লোকসানের ধারায় রয়েছে। চলতি প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা লোকসান করেছে, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। ৯ মাসে লোকসান ১ টাকা ৪৭ পয়সা, যেখানে আগের বছর ২ টাকা ২৮ পয়সা লাভ হয়েছিল। ক্যাশফ্লো নেমে এসেছে ৭ পয়সায়। এনএভিপিএস এখন ৪ টাকা ৭৮ পয়সা।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স: আয়ে হালকা পতন

তালিকাভুক্ত প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স চলতি প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯ পয়সা আয় করেছে, গত বছর ছিল ১০ পয়সা। ৯ মাসে আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৪৮ পয়সা। ক্যাশফ্লো কমে ১ টাকা ২৫ পয়সা, পূর্বে ছিল ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এনএভিপিএস ১৩ টাকা ১১ পয়সা।

সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: ধারাবাহিকতা বজায়

বস্ত্র খাতের আরেক প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ চলতি প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৩ পয়সা। ৯ মাসে মোট আয় হয়েছে ৮৭ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি (৭৬ পয়সা)। তবে ক্যাশফ্লো আশঙ্কাজনকভাবে কমে ৮৭ পয়সা হয়েছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৩ টাকা ২৪ পয়সা। এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২৭ পয়সা।

সর্বমোট, ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফলগুলির মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা, লাভের প্রবণতা এবং বাজারে অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। কিছু কোম্পানি তাদের আয়ের দিক থেকে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখিয়েছে, বিশেষ করে খুলনা পাওয়ার, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, এবং ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ—যারা বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু কোম্পানি, যেমন গোল্ডেনসন লিমিটেড, যে কিছুটা পতনের মুখে পড়েছে, তাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে, সবকিছু মিলিয়ে, এই আর্থিক ফলাফলগুলো দেশের শেয়ারবাজারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে দৃঢ় এবং সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ