ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

যাদের জন্য আজ রিজওয়ান এই অবস্থানে জানালেন নিজেই

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ নভেম্বর ১৫ ২২:৩৪:০৫
যাদের জন্য আজ রিজওয়ান এই অবস্থানে জানালেন নিজেই

আজ বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ্য। হ্যাঁ, আমার কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয়েছিল। চিকিৎসক ও ফিজিও আমাকে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেই বিশ্রামে থাকার সময়কাল শেষ হয়েছে। আশা করছি আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে প্র্যাকটিস করবো।’

ফাইনালের আগে দুইদিন তিনি ছিলেন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। সেখান থেকে গিয়ে খেলেছেন সেমির যুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ৫২ বলে ৬৭ রান। যা পাকিস্তান ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রান দিয়ে তার পথচলা শুরু। এরপর নামিবিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জোড়া হাফ সেঞ্চুরিসহ ৬ ম্যাচে (৭৯+৮+৩৩+৭৯+১৫+৬৭) ২৮১ রান করেন। অধিনায়ক বাবর আজমের (৩০৩) পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রিজওয়ানই পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

দুই ওপেনারের ব্যাটে রানের ফলগুধারা বইলেও কাকতালীয়ভাবে পাওয়ার প্লে‘তে পাকিস্তানের স্কোর ছিল খুব কম। মোটে ৩৭। যা মূল পর্বে অংশ নেয়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ভারত, আফগানিস্তানের চেয়েও কম। তবে বেশিরভাগ ম্যাচেই প্রথম ৬ ওভারে উইকেটই হারায়নি পাকিস্তান।

প্রথম ৬ ওভারে গড়ে ৬ রানের সামান্য বেশি তুলেও প্রায় প্রতিটি খেলায় পাকিস্তান গড়পড়তা ১৬০-১৭০ রান করেছে। এদিকে ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রানও (২০ ম্যাচে ১০৩৩) মোহাম্মদ রিজওয়ানের।

এ অসামান্য কৃতিত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে এই ক্যালেন্ডার ইয়ারে সবচেয়ে বেশি রান আমার। তবে বেশি ভাল লেগেছে যে আমার এ কৃতিত্বটি দেশের জন্য।‘

রিজওয়ান জানাতে ভোলেননি যে, ‘পিছন থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তবে এটাকে আমি বারবার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং স্বাগতঃ জানিয়েছি।’

এ অর্জনের জন্য নিজেকে কৃতিত্ব দেয়ার চেয়ে বরং তার কোচ, মেন্টরদেরই বেশি কৃতিত্ব দিতে চান রিজওয়ান। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমার রেকর্ড নিয়ে কথা বলতে গেলে বলবো, এ যাত্রা পথে অনেকেই আমার পিছনে ছিলেন।’

সবার আগে তিনি রিচার্ড পাইবাসের নাম বলেন। তার কথা, ‘রিচার্ড পাইবাস আমাকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাথে মানসিকভাবে তাল মিলাতে শিখিয়েছেন। আর ইনজি ভাই (ইনজামাম-উল হক) আমাকে অনেক ধারণা দিয়েছেন। তবে আমার এ যাত্রা পথে যিনি সব সময় পিছনে ছিলেন এবং আমাকে অনেক বেশি সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন, তিনি শহিদ আসলাম ভাই (সহকারি কোচ)।

ম্যাথ্যু হেইডেনের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘এখন আপনাকে কেউ বলে দেবে না এভাবে ব্যাট চালাও এবং কেউ আপনার ব্যাটিংয়ে তেমন কোন পরিবর্তনও আনতে পারবেন না। এর আগে ইউনুস ভাই (ইউনুস খান) আমাকে কয়েকটি ধারণা দিয়েছেন এবং আমাকে সামনে এগুতে সহায়তা করেছেন। আমি ইউনুস ভাইয়ের পরামর্শ মত এগুনোর চেষ্টা করেছি।’

‘ম্যাথ্যু হেইডেন শুধু আমাকে সাহায্যই করেননি শুধু, তার পরামর্শ যদি প্রতিটি পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান ঠিকমত অনুস্মরণ করে তাহলে তাদের ক্যারিয়ারের অনেক উপকার হবে।’

রিজওয়ান যোগ করেন, ‘একটা সময় আসে যখন সাবেকরা আপনাকে অনেক পরামর্শ দেন। এর মধ্যে দুই থেকে তিনটি বিষয় পিক করতে পারলে ক্যারিয়ারের অনেক উপকার হয়।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ