ঢাকা, রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২

দলে তামিমের অন্তর্ভুক্তি বদলে দিতে পারে পুরো ব্যাটিংয়ের চিত্র

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মার্চ ০৫ ২১:১৬:৫৫
দলে তামিমের অন্তর্ভুক্তি বদলে দিতে পারে পুরো ব্যাটিংয়ের চিত্র

প্রেস কনফারেন্সে তামিম বলেছিলেন"আমার আশা যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে আমার খুব একটা দরকার পড়বে না। তরুণ ক্রিকেটাররা এতই ভাল পারফর্ম করবে যে আপনারা আমাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাবেন না। তবে আল্লাহ মাফ করুক কোন কারণে যদি তরুণরা পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফেরার ব্যাপারে চিন্তা করব"।

এখন একটি ব্যাপার অবশ্য সবাই ঠিকই বুঝতে পেরেছে, তরুণরা যতই ভালো পারফর্ম করুক না কেনো তামিমের জায়গা সম্ভবত কেউই নিতে পারবে না। তবে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে ন্যূনতম পারফর্মও করতে পারেননি দুই ওপেনার নাঈম শেখ এবং মুনিম শাহরিয়ার। দুই ম্যাচেই দলীয় স্কোর ১০ রান হওয়ার আগেই ভেঙ্গে গিয়েছে ওপেনিং জুটি।

দুই ম্যাচেই পাওয়ার প্লে স্কোর ছিল ৪০ এর নিচে এবং পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবং দুই ম্যাচেই অষ্টম ওভারের আগে তৃতীয় এবং দশম ওভারের আগে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। অর্থাৎ বলা যায় টাইগারদের শুধু ওপেনিং নয় পুরো টপ অর্ডারই ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। আর তামিমের অন্তর্ভুক্তিতেই বদলে যেতে পারে সব সমীকরণ।

তামিম দলে ফিরলে লিটন এবং তামিম একসাথে জুটি বাঁধবেন তাই স্বাভাবিক, ওয়ান ডাউনে সাকিব এবং পরবর্তীতে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ এ ব্যাটিং লাইন অ্যাপটা টাইগারদের বর্তমান ব্যাটিং লাইন আপের চেয়ে নির্ধিদ্ধায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। তার উপর নিয়মিত পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ যদি একটি শক্ত ওপেনিং জুটি পেয়ে যায়, যারা নিয়মিত একটি ভালো শুরু এনে দিতে পারবে তাহলে টাইগারদের পুরো ব্যাটিংয়ের দৃশ্যটাই বদলে যেতে পারে।

হয়তোবা যে বাংলাদেশ এখন ১৩০-১৪০ এর বেশি রান করতে পারেনা, তারাই নিয়মিত ১৬০-১৭০ রান করবেন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে তামিমের সিদ্ধান্তের উপর। আফগানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঠিকই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে ছয় মাসে তামিমের বিকল্প তৈরি করা অনেকটা অবাস্তব পরিকল্পনার মতো। তবে তামিমের টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছা বিরতির দায় টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সমর্থকদেরও নিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে রাসেল ডমিঙ্গো এবং ম্যানেজমেন্ট বেশ কয়েকবারই বলেছিলেন যে তামিম বিশ্বকাপে না হলেও তাঁদের চলে।

বিগত অনেক সময় ধরেই তামিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডট বাবা বলে বেশ ট্রল ও করা হচ্ছিল। এসবের প্রেক্ষিতেই টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তামিম। তবে এখন তামিমের অনুপস্থিতিতে নিশ্চয়ই তামিমের গুরুত্ব বুঝতে পারছেন সবাই। এবারের সিরিজে তামিমের অভাব বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ, সামনের সিরিজে ভালো পারফর্ম করে তামিমের অভাব পুষিয়ে দিতে পারবেন কি তরুণরা এ প্রশ্ন আপাতত সময়ের কাছে তুলে রাখা হোক।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ