ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

অবিশ্বাস্য সত্য: মাটন রোলের লোভে নিজের প্রাণ হারাতে বসেছিলেন কোহলি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মার্চ ০৮ ১৫:০৯:২১
অবিশ্বাস্য সত্য: মাটন রোলের লোভে নিজের প্রাণ হারাতে বসেছিলেন কোহলি

বরং দিল্লির ছেলে হিসেবে খানাপিনার প্রতি বিশেষ আগ্রহই ছিল কোহলির। তখন দৈহিক গড়নও ছিল অধিক স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ। যে কারণে সতীর্থ খেলোয়াড় ‘চিকু’ ডাকনাম দিয়ে দেয় কোহলিকে। পরে ধীরে ধীরে নিজের খাওয়াদাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ এনে ফিটনেসে মনোযোগী হন তিনি।

তবে এর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে থাকতে এই খাবারের প্রতি আকর্ষণের কারণে নিজের জীবনই ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিলেন তরুণ বয়সের কোহলি। যা প্রায় দেড় দশক পর জানালেন কোহলির একসময়কার সতীর্থ ও রুমমেট প্রদীপ সাংওয়ান।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিজের কলামে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে করা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঘটনা উল্লেখ করে সাংওয়ান লিখেছেন, ‘জুনিয়র ক্রিকেটে প্রায় ৭-৮ বছর পর আমরা রুমমেট ছিল। ও সবসময় খেতে ভালোবাসতো, বিশেষ করে স্ট্রিট ফুড। কোরমা রোল, চিকেন রোল ওর পছন্দের ছিল।’

সেই ভোজনরসিকতা থেকেই একবার মাটন রোল খেতে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন তারা। সাংওয়ান লিখেছেন, ‘আমরা তখন ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছিলাম। কেউ একজন আমাদের জানালো যে একটি জায়গায় ভালো মাটন রোল পাওয়া যায়। তবে জায়গাটি খুব একটা নিরাপদ নয়।’

নিরাপত্তা শঙ্কার কথা শুনেও দমে যাননি কোহলি। বরং দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে রওনা সেখানের যাওয়ার জন্য, ‘আমাদের গাড়িচালকও বলছিল যে সেখানের খাবার খুবই মজা কিন্তু জায়গাটি নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগেই নাকি সেখানে একজনের হাত কেটে ফেলা হয়েছিল।’

‘এ কথা শুনে আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু কোহলি বলে, আরেহ এগুলো বিষয় না। চল যাই। আমাকেও সঙ্গে নিয়ে যাই। আমরা সেখানে খেলাম। এরপরই অচেনা কয়েকজন আমাদের ধাওয়া শুরু করলো। আমরা কোনোমতে গাড়িতে উঠে একদম হোটেলে ফেরার পর থেমেছি।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ