ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

সিরিজ হেরেই সম্ভবত টিম ম্যানেজমেন্টের ভুলের মাশুল দিবে বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ এপ্রিল ১০ ১৬:১৯:১৪
সিরিজ হেরেই সম্ভবত টিম ম্যানেজমেন্টের ভুলের মাশুল দিবে বাংলাদেশ

তখন সে স্বপ্ন যেন আরো বেশি ডানা মেলতে শুরু করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং বাদ দিলে বুক চিতিয়ে লড়েছে টিম বাংলাদেশ। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের ছোট ছোট কিছু ভুলের মাশুল শেষ পর্যন্ত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। হেরে যেতে হয় প্রথম টেস্টটি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পেসাররাই অধিপত্য খাটাবে তাই স্বাভাবিক।

তবে এবার বাংলাদেশকে স্পিন দিয়ে ঘায়েল করার ফন্দি রটেছিল আফ্রিকানরা। আর সেটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন কোচ,টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়ক। তারা যথারীতি তিন পেসার নিয়ে বোলিংয়ে আক্রমণ সাজিয়েছেন। তবে উইকেট ছিল স্পিনবান্ধব, খেলতে নেমেই বিষয়টি ধরতে পেরেছেন খেলোয়াড়েরা তবে ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল।

মূলত একজন বোলার কম নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে সাকিব না থাকায় টিম কম্বিনেশন সাজাতে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে স্পিনবান্ধব উইকেটে তিন পেসার এবং এক স্পিনার নিয়ে খেলতে নামার ভুল করেছে ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচটি ওখানে হেরে বসে বাংলাদেশ। সাধারনত দক্ষিণ আফ্রিকায় পেস বান্ধব উইকেটই হয় সমর্থক কিংবা গণমাধ্যমকর্মী সবাই সেভাবেই চিন্তা করবে।

তবে টিম ম্যানেজমেন্টের নিশ্চয়ই ভিন্ন চিন্তা করতে হবে, ম্যানেজমেন্ট ও যদি সাধারন সমর্থকদের মত একই চিন্তা করে কিংবা উইকেটের আচরণ বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে কিভাবে হবে? বিগত আফগানিস্তান সিরিজে মোহাম্মদ নবীকে প্রেস কনফারেন্সে বলতে শোনা গিয়েছিল" বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে উইকেটের আচরণে বুঝেনা। আমরা শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম উইকেটের আচরণ কেমন, আমরা সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি।

তবে বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে"। যে টিম ম্যানেজমেন্ট দেশের মাটির উইকেটেই বুঝেনা। তারা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট বুঝবে না সেটাই প্রত্যাশিত। দুই পেসার এবং দুই স্পিনার কম্বিনেশনে খেললে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের স্কোর অতটা লম্বা হতো না। পরবর্তী ইনিংসেও হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরো অনেক কম রানে বেঁধে রাখা যেত। টাইগারদের লক্ষ্যও পড়তো কম, এভাবে দুয়ে দুয়ে মিলে গেলে টাইগাররা পেয়ে যেতে পারত একটি ঐতিহাসিক জয়।

তবে সঠিক ১১ যদি বাছাই না করতে পারে ম্যানেজমেন্ট তাহলে টাইগারদের পক্ষে বিদেশে সাফল্য পাওয়া কোনোভাবে সম্ভব নয়। এছাড়া দলে মুমিনুল হকের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট প্রশ্ন। অধিনায়ক হিসেবে যে পরিমাণ প্রভাব খাটানোর কথা তা তিনি কখনোই খাটাতে পারেননি। এছাড়া শরীরী ভাষা এবং পরিকল্পনাতেও যথেষ্ট দুর্বলতা দেখা গিয়েছে টাইগার টেস্ট অধিনায়কের।

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের স্লেজিং সহ্যের বাইরে চলে গেলে সেটা নিয়েও আম্পায়ারদের সাথে কথা তামিম ইকবালের বলতে হয়। সবমিলিয়ে ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের অবস্থান এ সিরিজে ছিল অনেক বেশি প্রশ্নবিদ্ধ। দ্বিতীয় টেস্টেও হারের দিকে যাচ্ছে টাইগাররা। টিম ম্যানেজমেন্ট এধরনের হাস্যকর ভুল করা বন্ধ না করলে আবারো এরকম হতাশার শিকার হতে হবে সমর্থকদের।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ