ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হারার আসল কারণ ফাঁস

তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ক্রিকেট খেলতে থাকা টাইগারদের জন্য ভারতের মতো একটি বড় দলের বিপক্ষে এ ধরনের একটি ম্যাচ খেলা অত্যন্ত জরুরি ছিল। জরুরী ছিল নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ নিজের কাছে দেওয়ার। যা হয়তো বেশ ভালোভাবেই দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ম্যাচ হারলেও দর্শকরা দলের উপর হতাশ এমনটা ঠিক বলা যাবে না।
তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বের সেরা টি টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে সাকিব বাহিনী। এটাই বা কম কি? তবে সব মিলিয়ে বেশ ভালো ক্রিকেটই উপহার দিয়েছেন টাইগাররা। লিটনের ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি এক অর্থে অসাধারণ। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মতো ইনিংস খেলতে পারেন না এই উক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছে লিটনের এই ইনিংসটি।
২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডার থেকে একটু সাপোর্ট পেলেই হয়তো ভিন্ন এক গল্পই লেখা যেত।
দিনশেষে পাঁচ রানের ছোট্ট একটি ব্যবধানে ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশ। ২৫ বলে ২১ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ টি রান বেশি করলেই তা পুষিয়ে যেত। কিংবা লিটন কুমার দাস আরেকটি ওভার ক্রিজে থাকলেই এই ব্যবধানটা থাকত না। দু একটি ছোটখাটো হিসেবে মিললেই ম্যাচের ফল ভিন্ন হতো।
তবে এসব বাদে তাসকিনকে একটু অন্য ভাবে ব্যবহার করলেও হয়তো ম্যাচের প্রেক্ষাপট ভিন্নই হতে পারতো। এই বিশ্বকাপে এক কথায় অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। তবে আজকের ম্যাচে তাসকিনকে সাত ওভারের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি।
ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে হার্শা ভোগলে তাসকিনকে প্রথম সাত ওভারের মধ্যেই কেন শেষ করে দেওয়া হয়েছে এ প্রশ্ন করলে সাকিব বলেন"ইন্ডিয়ান টপ অর্ডার কতটা শক্তিশালী তা আমরা সবাই জানি। তাসকিন আমার সেরা বোলার, আমি চেয়েছিলাম তাসকিন আমাকে শুরুর দিকেই যেন উইকেট গুলো এনে দেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে উইকেট নিতে ব্যর্থ হলেও অসাধারণ ইকনোমিতে বোলিং করেন"।
চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দেওয়া তাসকিনকে ডেথ ওভারে বোলিং করানো হলে রান আরেকটু কম হতো কিনা এই প্রশ্ন রয়ে যাবে। কেননা ডেথ ওভারে বল করা দুই বোলার হাসান মাহমুদ এবং শরিফুল ইসলাম যথাক্রমে ৪৭ এবং ৫৭ রানে নিজেদের চার ওভারের কোটা শেষ করেন। ওভার প্রতি প্রায় ১১.৭৫ করে রান দিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
শরিফুল তো হাসানের চেয়েও খরচে ছিলেন, ওভার প্রতি ১৪.২৫ গড়ে রান দিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। অর্থাৎ এই দুজনের খুরুচে বোলিংয়েই ম্যাচ থেকে অনেকটুকু ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন হয়তো রয়েই যাবে তাসকিনের দুটি ওভার যদি পরের জন্য রেখে দেওয়া যেত তাহলে ভারতের স্কোর আরেকটি কম হতো কিনা?
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি