
MD. Razib Ali
Senior Reporter
ইমরুলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হবার পেছনে দায়ি যারা

বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত ক্রিকেটারদের একজন হলেন ইমরুল কায়েস। দারুন প্রতিভাবান এই ব্যাটারকে বাদ দেয়া হয়েছে কারণে অকারণে। পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়নি তাকে। লিটন, শান্ত ও সৌম্যদের যেভাবে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবি। তার ছিটেফোটা সুযোগ দেয়া হয়নি ইমরুল কায়েসকে। ইমরুল কায়েস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করার দায় এড়াতে পারবেন না যেমন বিসিবি ঠিক মাশরাফিও।
কেননা যে সময় ফর্মে তুঙে ছিলেন ইমরুল কায়েস সেই সময় তাকে বাদ দিয়ে সেই সময়কার টিম ম্যানেজমেন্ট। আর তখন বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মূর্তজা। অন্য ক্রিকেটারদের যেভাবে ডিপেন্ড করে ক্যারিয়ার বাচিয়েছে মাশরাফি ইমরুলে বেলা ঠিক তার উল্টো। পরিসংখ্যান কিন্তু তাই বলছে।
যে সময় ইমরুলকে বাদ দেয়া হয়েছিল সে সময় দারুন ফর্মে ছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৮ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি। এই ম্যাচটা এক রকম একাই বাংলাদেশকে লড়ার পূজি এনে দেন ইমরুল। কেননা শুধু মাত্র সাইফউদ্দিনের ৫০ রান ছাড়া বলার মত তেমন কেউ রান করতে পারেননি।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিলেন দুর্দান্ত। প্রায় সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১১১ বলে ৯০ রান করেন ইমরুল। তবে শেষ ম্যাচে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১২ বলে করেন ১১৫ রান। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩৪৯ রান করে ইতিহাস গড়ে হয়েছিলেন সিরিজ সেরা।
তবে ওয়েন্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এর পরের সিরিজে এক ম্যাজে ০ রান ও আরেক ম্যাচে ৪ রান করে ইমরুল কায়েস। আর এতেই তার ক্যারিয়ারের দ্যা ইন্ড করে দেয় সে সময়কার টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সেই সময় ইমরুলকে নিয়ে কিছুই বলেনি মাশরাফি।
কিন্তু অন্য ক্রিকেটারদের বেলায় এমনা কখনো করতেন মাশরাফি। তার জলন্ত প্রমাণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একবার আইসিসির মোগা ইভেন্টের আগে রিয়াদ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু সেই সময় মাশরাফির পরিস্কার কথা ছিল মাহমুদউল্লাহকে আমার চায় তাকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি খেলতে যাবো না। আর এত যায় তার ক্যারিয়ার।
আর একবার সাব্বিরকে ডিপেন্ড করেছিলেন মাশরাফি। তাছাড়া আরও অজানা গল্পতো আছেই। কিন্ত ইমরুলের বেলাতে এই রকম কিছু হয়নি। এটা কি মাশরাফির ভুল, না ইমরুলের ব্যাড লাক সেইটা আল্লাহ জানে। তবে মাশরাফিকে নিয়ে একবার আক্ষেপ করে ইমরুল বলেছিলেন মাশরাফি চায়লে আমার ক্যারিয়ারটা বড় হতে পারতো।
ইমরুল কায়েস তার ক্যারিয়ারে ৭৮ টা ওয়ানডে ইনিংস খেলেছেন। এই ৭৮ টা ওয়ান ডে ইনিংসে ৩২.০৩ এভারেজ এবং ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটে ২৪৩৪ রান করেছিলেন। ১৬ টা ফিফটি এবং ৪ টা সেঞ্চুরি।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি