ব্রেকিং নিউজ: নতুন করে যে সব কঠিন সিদ্ধান্ত নিল সরকার

দেশের অভ্যন্তরে এবং সীমান্ত এলাকায় নাগরিকদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, চোরাচালান বন্ধ এবং অন্যান্য অপরাধ নির্মূলসহ নানা বিষয়ে নির্ধারিত নির্দেশনা। ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সচিবালয়ের নিরাপত্তা সুরক্ষায় পদক্ষেপ
১. সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। রাতের সময় সচিবালয়ে শুধুমাত্র পুলিশ এবং নিয়োজিত কর্মচারীরা থাকতে পারবেন।
২. সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ পাস নিতে পারবেন না।
৩. সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড এবং প্রবেশ পাস লাগবে, তবে শুধুমাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারবেন।
৪. সচিবালয়ের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, এবং গাড়ির যাত্রীদের সঠিকভাবে চেক করা হবে।
৫. সচিবালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হবে।
৬. ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির জন্য বিশেষ প্রবেশ পথ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত শেড ও ফুটওভার ব্রিজ অপসারণ করা হবে।
৭. সরকারি দফতরে অপ্রয়োজনীয় সজ্জা পরিহার করা হবে এবং সচিবালয়ের অভ্যন্তরে পরিত্যক্ত গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে।
৮. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচিবালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার জন্য দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।
অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন এবং অপরাধ প্রতিরোধে পদক্ষেপ
৯. পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০. সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে এবং নিয়মিত তল্লাশি পরিচালিত হবে।
১১. সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় শাড়ি/কাপড় চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২. গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সীমান্তে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে এবং সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করা হবে।
১৩. সীমান্ত থানাগুলোতে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে এবং স্থানীয় জনগণকে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করা হবে।
১৪. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্ত
১৫. ভিআইপি ও ভিভিআইপি প্রটোকলে কৃচ্ছতা সাধন করা হবে।
১৬. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার ও খাদ্য ডিলারদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
১৭. পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠানো হবে।
১৮. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে একযোগে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
১৯. বিএনসিসিতে মেধাবী ও কর্মঠ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে এবং জনগণের শান্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। সরকারের এই পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করবে না, বরং সীমান্তে চোরাচালান, অপরাধ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম ওয়ানডেতে লড়াকু টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পয়েন্ট টেবিল: গ্রুপ সি-তে উড়ছে বাংলাদেশ
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- জেতা ম্যাচ হেরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- শান্তর পদত্যাগ, নতুন টেস্ট অধিনায়কত্বে এগিয়ে যিনি
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: আবারও গোল, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: লাইভ দেখবেন যেভাবে
- অ-১৮ এশিয়া কাপে জাপানের কাছে ১১-০ গোলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: নারীর ফুটবলে ৩ গোলের নাটকীয় ম্যাচ শেষ