সীমান্তে উত্তেজনা: মুখ খুললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটে যায় এক নাটকীয় পরিবর্তন। ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়তে থাকে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো স্পর্শকাতর ইস্যু পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
নতুন বছরের শুরুতে ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রতিবেশী এবং আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। কোনভাবেই আমাদের সম্পর্ক যেন বৈরিতায় রূপ না নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের প্রায় পুরো অংশেই আমরা সংযুক্ত। তাই এমন কিছু করা উচিত নয়, যা আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
জেনারেল দ্বিবেদী ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ক্ষমতার পট পরিবর্তন নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ওই সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তিনি বলেন, “পরিবর্তনের সময়ও আমরা যোগাযোগে ছিলাম এবং গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে। এতে বোঝা যায়, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে এবং শক্তিশালী।”
ভারতীয় সেনাপ্রধান আশ্বস্ত করেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে কোনো সামরিক ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই ঝুঁকির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। দুই দেশের সেনাবাহিনী পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্পর্ক যথেষ্ট শক্তিশালী।”
এর আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক থাকা উচিত। জনগণ যেন কখনো মনে না করে যে, ভারত আমাদের ওপর কর্তৃত্ব করছে বা আমাদের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু করছে।”
জেনারেল দ্বিবেদীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই বক্তব্যের প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করার উপর জোর দেন।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখা উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দুই দেশের সেনাপ্রধানদের মন্তব্যে এই বার্তা স্পষ্ট যে, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই তাদের অগ্রাধিকার।
সীমান্তে উত্তেজনা সত্ত্বেও, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ এবং সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ভবিষ্যতে আরও ভালো বোঝাপড়ার পথ সুগম করবে বলে আশা করা যায়।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তি: এক লক্ষের নিচে নেমে আসতে পারে সোনা!
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: শেষ হলো নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল, জানুন ফলাফল
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: শেষ হলো ৩৭৪ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- আজকের সোনার দাম, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- মুহূর্তের ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার মূল্য, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ফাইনাল: ব্যাটিংয়ে ভারত, সরাসরি দেখুন (LIVE)
- যে কারণে প্রার্থী তালিকায় নাম নাইরিজভী ও নজরুল
- আজ ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন লাইভ
- ঐতিহাসিক মোড়! যে মার্কা নিল এনসিপি
- চলছে আর্জেন্টিনা বনাম বেলজিয়াম ম্যাচ: গোল, গোল, খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live)
- রিজভী-নজরুল প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকার নেপথ্যের কারণ জানাল বিএনপি
- চলছে আর্জেন্টিনা বনাম বেলজিয়াম ম্যাচ: ৫ গোল, ৮০ মিনিটের খেল শেষ, জানুন ফলাফল
- বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা ২০২৫: ঢাকার ১৩টি আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা
- বিএনপির প্রার্থী তালিকা ২০২৫: এক নজরে জেনে নিন ২৩৭ আসনে প্রার্থীর তালিকা