মাঠে তামিমের আচরণ নিয়ে যা বললেন সাব্বির

চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনেই ফরচুন বরিশাল বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাব্বির রহমানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে সাব্বির রহমান নিজে বিষয়টিকে সহজভাবে নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, এটি মাঠের উত্তেজনার কারণে হয়েছে।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে বরিশালের দুই ব্যাটার তামিম ইকবাল ও ডেভিড মালান ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করছিলেন। ওভারের একটি মুহূর্তে তামিমের একটি শট বাউন্ডারি লাইনের কাছে ঠেকিয়ে দেন সাব্বির। তবে ফিল্ডিংয়ের পর বলটি উইকেটকিপার বা বোলারের দিকে না পাঠিয়ে সামনের দিকে ফেলে দেন তিনি। এটি হয়তো ব্যাটারকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হতে পারে, যা ক্রিকেটে “ফেক ফিল্ডিং” নামে পরিচিত।
তামিম ইকবাল ঘটনাটি ভালোভাবে নেননি। তিনি উত্তেজিত হয়ে সাব্বিরের দিকে তির্যক মন্তব্য করেন, যা ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়ে। তামিমকে বলতে শোনা যায়, "বেশি লাগতে যেও না সাব্বির, বেশি লাগতে যেও না।" যদিও এর বাইরেও কিছু কথা বলা হয়েছে, যা স্পষ্ট শোনা যায়নি।
সাব্বির তামিমের দিকে এগিয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন এবং সাব্বিরকে শান্ত করেন। ফিল্ড আম্পায়াররাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন।
ঘটনার পর দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাব্বির রহমান বলেন,"মাঠের মধ্যে যে ঘটনাই হোক, এটা মাঠের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তামিম ভাই আমার সিনিয়র বড় ভাই। উনি খুবই রেসপেক্টেড একজন ব্যক্তি এবং বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এরকম ক্রিকেটার বাংলাদেশে আর আসবে না। এটা হিট অব দ্য মোমেন্টে হয়ে গেছে, আমি ওটা কিছু মনে করিনি। উনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল এবং ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।"
সাব্বির আরও বলেন, এমন পরিস্থিতি মাঠে প্রায়ই তৈরি হয়, কিন্তু সেটি নিয়ে মাঠের বাইরে আর কোনো বিরোধ রাখা উচিত নয়।
তামিমের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মনে করেন, সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের আরও সংযত থাকা উচিত ছিল। তবে অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন, সাব্বিরের ফেক ফিল্ডিংয়ের চেষ্টাই উত্তেজনার কারণ।
এই উত্তপ্ত মুহূর্ত মাঠে শেষ হয়ে গেলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে এটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্ক এবং মাঠের উত্তেজনা কীভাবে সামাল দেওয়া উচিত, তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ হওয়া উচিত—এমনটাই বলেছেন সাব্বির রহমান। তবে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের অভিজ্ঞতা এবং সাব্বিরের সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ দলের অভ্যন্তরে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনো অটুট রয়েছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- ভয়াবহ অন্ধকারে ঢাকার একাংশ
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপি ১০০ আসনও পাবে না
- বৃষ্টির কারণে বন্ধ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ