দেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়: বিএনপি বনাম এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেন নতুন এক স্রোত বইছে। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জীবিত করেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে, তবে তাদের মধ্যকার মতবিরোধ আজ নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ উত্তেজনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
নির্বাচনের বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিএনপি নির্বাচন সামনে রেখে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে, তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার আগে একাধিক শর্ত দিয়েছে। এনসিপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা তৃতীয় ধাপে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নন। তাদের দাবি, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে বিচার করতে হবে, এরপরই নতুন একটি গণপরিষদ গঠন ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
এনসিপি আরো দাবি করছে, দেশের রাজনীতি পুনর্গঠন করতে হলে আগে প্রয়োজন একটি নতুন সংবিধান, যার ভিত্তিতে একটি নতুন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের এই দাবিতে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি একটি বড় ধরনের পলিটিক্যাল শিফট, যা আগামী নির্বাচনের গতিপথে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। এমনকি ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্বাচন হতে পারে যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে যে আরও কিছু সংস্কার প্রক্রিয়া চালু রাখা প্রয়োজন।
জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী ঘোষণা শুরু করেছে। তবে এনসিপি দৃঢ়ভাবে তাদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে বলেছে, "নির্বাচন পূর্বে যদি আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার না হয়, তাহলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।"
বিএনপি তাদের পক্ষ থেকে এনসিপির এই দাবির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের দাবি, "এ ধরনের অজুহাত জনগণ কোনোভাবেই গ্রহণ করবে না। নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করা হলে, জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।" তারা সরকারের কাছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
এভাবে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন একদিকে নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে চরম বিরোধ আবারও প্রমাণ করছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতি কখনও থেমে থাকে না, বরং নানা মতবিরোধের মধ্যে জোরালোভাবে এগিয়ে চলে। নির্বাচনের ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জামাল/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শোক সংবাদ: মারা গেলেন মুফতি আহমদুল্লাহ
- আজকের খেলার সময়সূচি: শ্রীলঙ্কা বনাম হংকং
- ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ ব্যক্তিকে দেড় কোটি টাকা জরিমানা বিএসইসির
- বেতন বাড়লো! সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন পে-স্কেল
- শেয়ারবাজারে চমক: দুই ফার্মায় ছুটছে বিনিয়োগ!
- বিনিয়োগকারী সতর্ক! ৮ কোম্পানির প্রভাবে শেয়ারবাজারে ধস
- 'বি' থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর এক কোম্পানির শেয়ার
- ৫২৫ শতাংশ লভ্যাংশ পেল বিনিয়োগকারীরা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএইসর গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা
- পুঁজিবাজারে ডিজিটাল জালিয়াতি: বিএসইসি-এনটিএমসি'র যৌথ উদ্যোগ
- নতুন পে-স্কেল: বড় সুখবর-সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়লো!
- এক শেয়ারেই বাজিমাত: ডিএসইর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
- আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত? সিএমএসএফ কার্যকারিতায় বিএসইসি'র চমক!
- এক নজরে শেয়ারবাজারের আলোচিত ১২ খবর
- ভারত-পাক ম্যাচ বয়কট? ড্রেসিংরুমে চাপ!