
MD. Razib Ali
Senior Reporter
“না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে তরুণীদের মারধরের ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন নেহাল আহমেদ জিহাদ
মুন্সিগঞ্জ, ১০ মে:
মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা সেই যুবক নেহাল আহমেদ জিহাদ অবশেষে নিজেই হাজির হয়েছেন থানায়। আত্মসমর্পণের পর পুলিশের কাছে তিনি এমন এক বক্তব্য দিয়েছেন, যা শুনে অনেকেই বিস্মিত।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যা দেখা যায়
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে 'এমবি ক্যাপ্টেন' নামের একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে এসে ভিড়ে। অভিযোগ ওঠে, লঞ্চে চলছিল ‘ব্যাচেলর পার্টি’, যেখানে যুবকদের অশ্লীল আচরণ ও মাদকসেবনের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে লঞ্চে উঠে পড়েন। উত্তেজনার একপর্যায়ে দুই তরুণীকে টেনে হিঁচড়ে বের করে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একদল যুবক গালিগালাজ ও শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছেন দুই তরুণীর ওপর। এই ‘শাস্তি প্রদানের’ নেতৃত্বে ছিলেন নেহাল আহমেদ জিহাদ।
আত্মসমর্পণ ও নেহালের বক্তব্য
শনিবার বিকেলে নেহাল নিজেই মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হাজির হন। পুলিশ জানায়, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে ডাকা হলে তিনি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নেহাল বলেন,
“আমি যদি না মারতাম, তাহলে আরও বড় কিছু ঘটে যেতে পারত। আমি তাদের রক্ষা করতেই বাধ্য হয়ে এই ব্যবস্থা নিই।”
তিনি দাবি করেন, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তরুণীদের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন তিনিই। নিজের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেছেন, যদিও ভিডিওতে তার আচরণ ছিল স্পষ্টতই সহিংস।
পুলিশ বলছে যা
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন,
“ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগীরা চাইলে মামলা করতে পারবেন। আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি এবং তদন্ত চলছে।”
পুলিশ আরও জানায়, “আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। আমরা তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। একদিকে তরুণীদের উপর প্রকাশ্য সহিংসতা, অন্যদিকে নিজেকে 'বাঁচানোর চেষ্টা' বলে দাবি করা অভিযুক্তের বক্তব্য—দুই দিক থেকেই ন্যায়বিচার ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
ভিডিও ভাইরাল, পুলিশি তদন্ত চলমান, আর অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থন সামনে আসার পর—এখন চোখ থাকবে এই ঘটনায় আদালতের বিচার ও তদন্ত কোন দিকে এগোয়, সেটির দিকে।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে কী ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তর: একদল যুবক 'ব্যাচেলর পার্টি' থেকে দুই তরুণীকে টেনে বের করে প্রকাশ্যে মারধর করে, যা ভিডিওতে ভাইরাল হয়।
প্রশ্ন ২: ভিডিওতে দেখা যুবকের নাম কী?
উত্তর: ভিডিওতে তরুণীদের মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন নেহাল আহমেদ জিহাদ।
প্রশ্ন ৩: নেহাল কেন মেয়েদের মারধর করেছেন বলে দাবি করছেন?
উত্তর: তিনি পুলিশের কাছে বলেছেন, “আমি না মারলে আরও বড় কিছু ঘটত। পরিস্থিতি শান্ত করতেই ব্যবস্থা নিই।”
প্রশ্ন ৪: এই ঘটনায় মামলা হয়েছে কি?
উত্তর: এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপা
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- গুজবের ফাঁদে শেয়ারবাজার: জুয়াড়ি চক্রের নতুন কৌশল
- শ্রীলঙ্কার কাছে ২৭ রানে হার, সিরিজ হেরে ফিরল বাংলাদেশ
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- গুজব না সত্যি: মারা গেলেন হাসনাত আবদুল্লাহ
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৪ মে ২০২৫)
- বিমা খাতের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বড় সুখবর
- দেশের বাজারে কমলো সোনা ও রুপার দাম: নতুন মূল্য ঘোষণা করলো বাজুস
- ইন্টার মিলান বনাম বার্সেলোনা: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও ম্যাচ প্রিভিউ
- সিসিএর সুদের টাকা কে পাবে না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
- ১১ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা, কেউ লোকসানে কেউ পেল বোনাস
- “না মারলে ঘটত বড় কিছু”—নেহালের এই কথায় দেশজুড়ে তোলপাড়
- খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সারজিস আলমের বার্তা