ঢাকা, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

লাহোর কালান্দার্স ২৬ রানে জয়, ফখর জামানের ঝড়ো ব্যাটিং

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১৯ ০১:৪৬:২১
লাহোর কালান্দার্স ২৬ রানে জয়, ফখর জামানের ঝড়ো ব্যাটিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৮ মে ২০২৫, রাওয়ালপিন্ডি: পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL) ২০২৫ এর ২৯তম ম্যাচে লাহোর কালান্দার্স পেশাওয়ার জলমিকে ২৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে। নেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে লাহোর কালান্দার্স ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে, যা নির্ধারিত ১৩ ওভার খেলেই পেশাওয়ার জলমির কাছে কঠিন লক্ষ্য ছিল।

লাহোর কালান্দার্সের ব্যাটিং পর্যালোচনা

লাহোরের ইনিংস শুরু হয় অতি আগ্রাসী ব্যাটিং নিয়ে। ওপেনার ফখর জামান ৩৬ বল খেলে ৬০ রান সংগ্রহ করেন, যার মধ্যে ছিল ৭টি চারের পাশাপাশি ৩টি শক্তিশালী ছয়। তার স্বতঃস্ফূর্ত ও ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ফলে দল দ্রুত বড় রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মোহাম্মদ নাঈম মাত্র ১০ বল খেলে ২২ রানের ঝলক দেখান। এছাড়া কুসাল পেরেরা ও আসিফ আলি যথাক্রমে ১৭ ও ১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। পুরো দল ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে।

তবে ব্যাটিংয়ের সময় বেশ কিছু উইকেট হারাতে হয়, যেখানে কুশীলব ব্যাটসম্যানরা বেশি সময় ব্যাটিং করতে পারেনি। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান মাত্র ১ বল খেলেই আউট হন। হারিস রউফ রান আউট হন। তবে দলপতি শাহীণ শাহ আফ্রিদি শেষ পর্যন্ত নট আউট থাকেন এবং দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৮ রান যোগ করেন।

সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স

সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ে কিছুটা ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে দলের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মাত্র ২ ওভার বল করে ১৮ রান খরচায় উইকেট না পেলেও তিনি যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেন পেশাওয়ার ব্যাটসম্যানদের ওপর। তার অভিজ্ঞতা ও বোলিংয়ের গতি দলের বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী করে। যদিও তার ব্যাটিংতে আর্থিক ইনিংস ছিল না, তবে বোলিংয়ে তার স্পিন ভাল খেলোয়ারদের ব্যর্থ করার চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে।

পেশাওয়ার জলমির ব্যাটিং বিশ্লেষণ

টস হারিয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে জলমির ব্যাটিং লাইন কিছুটা ধুঁকতে থাকে। ওপেনার সাইম আইয়ুব হিট উইকেটে ৮ রান করেই সাজঘরে ফিরেন, আর পরপর উইকেট হারানোতে দল চাপের মুখে পড়ে। দলের অধিনায়ক বাবর আজম ১৩ বল খেলেন ১৬ রান করে আউট হন। এদিকে, ড্যানিয়েল সামস ১৪ বল খেলেও দ্রুত ২৬ রানের ইনিংস খেলেন, যা দলের জন্য ছিল ইতিবাচক কিছু।

তবে বড় কোনো ব্যাটসম্যান দীর্ঘসময় বাঁচতে পারেননি। সালমন মিরজা ৩ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পেশাওয়ার জলমি ১৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১২৩ রান সংগ্রহ করে থেমে যায়, যা লাহোর কালান্দার্সের সংগ্রহের চেয়ে ২৬ রান কম।

বোলিংয়ের দিক

লাহোর কালান্দার্সের বোলিংয়ে শাহীণ শাহ আফ্রিদি ২ উইকেট নেন, হারিস রউফ ও সিকান্দর রাজারও ১টি করে উইকেট ছিল। বিশেষভাবে শামীল সালমন মিরজা ৩ ওভার বল করে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সবচেয়ে সফল বোলার হিসেবে জায়গা করে নেন। এছাড়া ড্যানিয়েল সামস ও আলী রাজার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

ম্যাচের সারমর্ম ও প্রভাব

লাহোর কালান্দার্সের এই জয়ে তাদের প্লে-অফের আশা আরও মজবুত হলো। ফখর জামানের দুর্দান্ত ফর্ম এবং দলীয় একতা তাদের ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। অপরদিকে, পেশাওয়ার জলমির ব্যাটিং লাইন দুর্বলতায় তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়। সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চাপ তৈরি করা দলকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করেছে, যদিও ব্যাটিংয়ে তার অবদান কম ছিল।

এই ম্যাচে দুই দলেরই কিছু খামতি দেখা গেল, বিশেষ করে পেশাওয়ার জলমির ব্যাটিং তাড়ানোর সময় দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। লাহোরের বোলারদের দক্ষতা ও ম্যাচের প্রয়োজন বুঝে শালীন বোলিং তাদের জয়ের মূল চাবিকাঠি ছিল।

পাকিস্তান সুপার লিগের পরবর্তী ম্যাচে আবারও মাঠ মাতানোর জন্য উভয় দল প্রস্তুত থাকবে, যেখানে ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য থাকবে নতুন রোমাঞ্চকর লড়াই।

FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর)

প্রশ্ন ১: লাহোর কালান্দার্স ও পেশাওর জলমির ম্যাচের ফলাফল কী?

উত্তর: লাহোর কালান্দার্স ২৬ রানে ম্যাচটি জিতেছে।

প্রশ্ন ২: ফখর জামানের পারফরম্যান্স কেমন ছিল?

উত্তর: ফখর জামান মাত্র ৩৬ বল খেলে ৬০ রান করেন, যা ছিল ম্যাচের এক ঝড়ো ইনিংস।

প্রশ্ন ৩: কে বেশি উইকেট নিয়েছে?

উত্তর: সালমন মিরজা ৩ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন।

প্রশ্ন ৪: সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স কেমন ছিল?

উত্তর: সাকিব আল হাসান ১ ওভারে ১৮ রান দেন, বোলিংয়ে পারফরম্যান্স কিছুটা হতাশাজনক ছিল।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ