আমি বলব না কবুল”– তারপর কী ঘটল? ভাইরাল রাজনগরের বিয়ে (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটা বিয়ের আসর। লাল শাড়ি, সোনার গয়নায় সজ্জিত কনে। চারপাশে গমগম করছে লোকজনের কোলাহল, হাসি-আনন্দের শব্দ। কিন্তু ওই মাঝখানে বসে এক তরুণী বারবার বলছেন, "আমি কবুল বলব না!"—এ যেন উৎসবের মাঝে এক নিঃশব্দ আর্তনাদ।
ঘটনাটি মৌলভীবাজারের রাজনগরের। সম্প্রতি একটি বিয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ফাইমা মনি নামের এক তরুণী কান্নাজড়িত গলায় স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন, তিনি এই বিয়ে চান না। তার মুখে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা—“আমি কবুল বলব না।”
কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞা যেন কেউ শুনতেই চায় না। আশপাশে থাকা আত্মীয়স্বজন একের পর এক চাপ দিচ্ছেন—“বল আলহামদুলিল্লাহ মামনি, কাজী সাব কতক্ষণ বসে থাকবেন!”
কোনোভাবেই থামছে না চাপ, থামছে না ক্যামেরা, থামছে না এক তরুণীর কান্না।
পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে—কী এমন পরিস্থিতি, যেখানে একটি মেয়ে প্রকাশ্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের আসরে বসে আছে?
ভিডিওর আরেকটি অংশে দেখা যায়, কাবিন নির্ধারণ করা হয় ১৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা তাৎক্ষণিক পরিশোধ, বাকি ৫ লক্ষ পরে। হাসিঠাট্টার ছলে দোয়ার সময় কেউ একজন বলছেন, “হে আল্লাহ, জামাই যেন মুরগির মতো মেয়ের পিছে দৌড়ায় সারাজীবন।” এই বক্তব্য ঘিরেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একটি পবিত্র সম্পর্কের শুরু এতটা বিদ্রূপ আর অসম্মানজনক হতে পারে?
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এটি নিছক একটি বিয়ে নয়, বরং নারীর মতের প্রতি চরম অবজ্ঞার প্রকাশ। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী সানজিদা রহমান বলেন, “এই ঘটনা আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান ও স্বাধীনতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মেয়েটির চিৎকার কেউ শুনল না—এটাই সবচেয়ে ভয়ংকর।”
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, এটি নারীর মৌলিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন। তারা নিরপেক্ষ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
ঘটনার পর রাজনগর থানা পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
এই ভিডিও শুধু একটি ঘটনার দলিল নয়—এটি একটি সমাজের আয়না, যেখানে এখনও নারীর 'না' মানে 'হ্যাঁ' ভেবে নেওয়া হয়। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়—সেই 'না' চাপা পড়ে আত্মীয়স্বজনের গলা, ক্যামেরার ফ্রেম আর সমাজের চাপে।
এখন প্রশ্ন একটাই—এই ‘কবুল না’ কি আদৌ কেউ শুনবে?
(দেখুন ভাইরাল হওয়া ঘটনাটির পূর্ণ ভিডিও)
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন ১: কনে কেন বলেছিলেন “আমি বলব না কবুল”?
উত্তর: ভিডিওতে দেখা যায়, কনে বিয়েতে সম্মতি দিচ্ছেন না এবং স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন তিনি এই বিয়ে চান না।
প্রশ্ন ২: তারপর কী ঘটেছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে?
উত্তর: কনের আপত্তি সত্ত্বেও আত্মীয়রা জোর করতে থাকেন এবং কাজী বিয়ে পড়িয়ে দেন।
প্রশ্ন ৩: এই ঘটনার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি?
উত্তর: এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি, তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
প্রশ্ন ৪: ভিডিওটি কোথায় ভাইরাল হয়েছে?
উত্তর: ভিডিওটি মূলত ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব-এ ভাইরাল হয় এবং দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- এসএসসি-এইচএসসির বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপা দাম
- ইরান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তির আলোয় তেলের দর ৪% কমেছে
- বিএনপির ৪ নেতার পদত্যাগ: সামনে এলো আসল কারণ
- স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে কমছে, কারণ জানেন কি?
- ফুটবলে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস: ২৮-০ গোলের বড় জয় দেখল বিশ্ব
- মুস্তাফিজকে পরের ম্যাচে রাখার কারণ জানালেন দিল্লি অধিনায়ক
- শেয়ারবাজার নিয়ে খেলা বন্ধে কঠোর শাস্তির দাবি
- শেয়ারবাজারের ঝুঁকি নিয়ে গভর্নর সতর্ক, জানিয়ে দিলেন বিনিয়োগকারীদের
- শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরাতে পাঁচ সদস্যের দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- শেয়ারবাজারে নাটকীয় দিন: একই শ্রেণির শেয়ার দুই চরমে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৪ মে ২০২৫)
- দেশের সোনার বাজার অস্থির: ১৮, ২১, ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- শেষ ওভারে বদলে গেল ম্যাচের দৃশ্যপট, ব্যর্থ আকবরদের প্রচেষ্টা