ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দলিল ও এনআইডির নাম ভিন্ন? এখনই নিন ৩টি আইনি পদক্ষেপ

সারাদেশ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ৩১ ১২:৫৫:২৬
দলিল ও এনআইডির নাম ভিন্ন? এখনই নিন ৩টি আইনি পদক্ষেপ

জমি বিক্রি, নামজারি বা মালিকানা বদলে আটকে যেতে পারেন, আগেভাগে জেনে নিন সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমির দলিল আর জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নামের পার্থক্য? বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও, এর ফলে আপনি পড়তে পারেন গুরুতর আইনি জটিলতায়। কারণ, দলিল এবং এনআইডির নাম এক না হলে জমি বিক্রি, নামজারি, এমনকি মালিকানা হস্তান্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো আটকে যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো, এই সমস্যার একটি সহজ, আইনসম্মত সমাধান রয়েছে—যা মেনে চললে আপনি বিপদমুক্ত থাকবেন।

চলুন জেনে নিই, এই সমস্যা সমাধানে এখনই কী কী করতে হবে।

১. স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করুন

প্রথমেই প্রয়োজন একটি প্রত্যয়নপত্র।

আপনি যদি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বসবাস করেন, তাহলে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এটি নিতে হবে।

আর শহরে হলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে নিতে হবে।এই প্রত্যয়নপত্রে স্পষ্টভাবে লিখতে হবে যে—দলিলের নাম ও এনআইডিতে যাঁর নাম রয়েছে, তারা আসলে একই ব্যক্তি।

২. নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এফিডেভিট করান

পরবর্তী ধাপে, ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি এফিডেভিট করতে হবে।

এটি একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে করাতে হবে।

এফিডেভিটে উল্লেখ থাকবে যে, দলিল ও এনআইডিতে থাকা আলাদা দুটি নাম আসলে একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।

এটি হলো আপনার ঘোষণামূলক আইনি প্রমাণ।

৩. সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজপত্র দাখিল করুন

সবশেষে, উপরের দুইটি নথি—প্রত্যয়নপত্র এবং এফিডেভিট জমা দিন নামজারি বা জমি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায়।

নামজারির আবেদন করলে এই কাগজপত্র যাচাই করে সংশ্লিষ্ট অফিস আপনার অনুরোধ মঞ্জুর করবে।

একইভাবে, জমি বিক্রির ক্ষেত্রেও এই কাগজপত্র দিয়ে আপনি প্রমাণ করতে পারবেন—আপনার মালিকানা বৈধ।

ভুল তথ্য বা অনিয়ম ভবিষ্যতে জটিলতা ডেকে আনতে পারে

অনেক সময় দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর জমি নিয়ে কোনো কাজ করতে গিয়ে নামের এই ছোট পার্থক্য বড় আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই যাঁদের এনআইডি ও দলিলে নামের মিল নেই, তারা যেন দ্রুত এই তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন—এমনটাই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ভবিষ্যতের জটিলতা এড়ান।

দলিল ও এনআইডির নামের মিল না থাকলে ভয় নয়, বরং সঠিক পথে সমাধান নিন।

প্রয়োজনে একজন দক্ষ আইনজীবীর সহায়তা নিন।

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ) ও উত্তরসহ:

প্রশ্ন ১: দলিল ও এনআইডির নাম না মিললে কী সমস্যা হয়?

উত্তর: জমি বিক্রি, নামজারি বা হস্তান্তরের মতো কাজ আটকে যায় এবং মালিকানা প্রমাণে সমস্যা হয়।

প্রশ্ন ২: কিভাবে সমাধান করা যায়?

উত্তর: স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র, ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেভিট এবং তা সংশ্লিষ্ট অফিসে দাখিল করলেই সমস্যা মিটে যায়।

প্রশ্ন ৩: প্রত্যয়নপত্র কারা দিতে পারেন?

উত্তর: ইউনিয়নে চেয়ারম্যান এবং শহরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রত্যয়নপত্র দিতে পারেন।

প্রশ্ন ৪: আইনজীবীর ভূমিকা কী?

উত্তর: এফিডেভিট তৈরির ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেয়া জরুরি, যাতে পরে আইনি জটিলতা না হয়।

জাকারিয়া ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে বিশ্ব মিডিয়াতে তোলপাড়

শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে বিশ্ব মিডিয়াতে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সরাসরি সম্প্রচারিত বিচারকাজ নজির গড়ল বাংলাদেশে নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হলো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর... বিস্তারিত