সচিবালয়ের আন্দোলনে উত্তাল কর্মচারীরা, দাবি একটাই—বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে ফের বিক্ষোভে নেমেছে সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সরকারকে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ১৬ জুন সকাল থেকেই শুরু হয় নতুন কর্মসূচি।
ঈদের ছুটি শেষে যখন সচিবালয়ে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা, তখনই নতুন করে আন্দোলনের ঢেউ তুলেছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের একমাত্র দাবি—‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল করতে হবে।
সোমবার সকাল ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় শুরু হয় কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি গিয়ে থামে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের সামনে, যেখানে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে জমা দেওয়া হয় স্মারকলিপি।
নেতৃত্বে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির, মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন,
“সরকার আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কোনো আলোচনার তোয়াক্কা না করে একটি একতরফা কালো অধ্যাদেশ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন, “এই অধ্যাদেশ বাতিল না হলে সচিবালয় অচল করে দেওয়া হবে। আমরা সংশোধন চাই না, চাই সম্পূর্ণ বাতিল।”
কী আছে বিতর্কিত অধ্যাদেশে?
২৫ মে সরকার জারি করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’। এতে বলা হয়েছে—চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে। কর্মচারীরা বলছেন, এটি কর্মজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে এবং আইনি নিরাপত্তার চরম লঙ্ঘন।
আগেই ছিল আল্টিমেটাম
গত ২৪ মে আন্দোলন শুরু করে কর্মচারীরা। আন্দোলনের চাপে সরকার ৪ জুন অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে, যার আহ্বায়ক আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তবে কর্মচারীরা সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন। ঈদের আগে ৭ জন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তারা ১৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। সে সময়সীমা শেষ হওয়ায় ১৬ জুন থেকে তারা ফের কঠোর আন্দোলনে নামেন।
আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী?
কর্মচারীরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, ১৭ জুন সকাল ১১টায় আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সরকারের অবস্থান
আইন উপদেষ্টা কর্মচারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আন্দোলন না করে আলোচনায় আসুন।” তবে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—“আলোচনা নয়, এখন প্রয়োজন সিদ্ধান্ত।”
একদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে কর্মচারীদের সংগঠিত প্রতিরোধ—বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঙ্গনে এক অনিশ্চিত উত্তেজনা বইছে। সচিবালয়ের আন্দোলন কোথায় গিয়ে থামে, তা সময়ই বলবে।
কিন্তু কর্মচারীরা এখন এক বাক্যে বলে চলেছেন—
“আমরা আর পিছনে ফিরবো না, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবেই।”
জামিরুল ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- আজ ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- দুটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: টস শেষ, লাইভ দেখুন এখানে
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধি: ডিএসইর কড়া সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ার কারসাজি: বিএসইসি’র কড়া তদন্তের নির্দেশ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক
- 'এ' ক্যাটাগরি থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর এক কোম্পানির শেয়ার
- পুঁজিবাজারে নতুন চমক! ৪ কোম্পানিতে উদ্যোক্তা বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- চলছে ভারত বনাম পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- ভারতকে লড়াকু রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান, লাইভ দেখুন এখানে
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড! ৪ কোম্পানির চমকপ্রদ উত্থান, কেন?
- দুই কোম্পানির ডিভিডেন্ডে হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- এশিয়া কাপ শিরোপা নিলো না ভারত