ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

একলাফে কমলো ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১১:১০:২৬
একলাফে কমলো ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনার বাজারে চলমান বৈশ্বিক উত্তাপের মধ্যে আজকের দিনে এক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বহু মানুষের মনে—বাংলাদেশে না ভারতে, কোথায় সোনা কিনলে লাভ? নতুন দামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে আজ স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। অন্যদিকে, ভারতে সামান্য কমেছে দাম। তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এখন সোনা কিনতে গেলে বাংলাদেশি ক্রেতার পকেটটাই তুলনামূলকভাবে বেশি হালকা হচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম (১৭ জুন ২০২৫)

ক্যারেটভরিপ্রতি (১১.৬৬৪ গ্রাম) দামপ্রতি গ্রাম৫% VAT ও ৬% মজুরিসহ (প্রায়)
২২ ক্যারেট ৳১,৭৪,৫২৮ ৳১৪,৯৬১ ৳১৭,৫২০
২১ ক্যারেট ৳১,৬৬,৫৯৭ ৳১৪,২৮৩ ৳১৬,৭০০
১৮ ক্যারেট ৳১,৪২,৮০২ ৳১২,২৪২ ৳১৪,২৭০
সনাতন ৳১,১৮,১৬৮ ৳১০,১৩০ ৳১১,৮৫০

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) নির্ধারিত নতুন দামে আজ সোনার দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। নিচে বর্তমান দাম ও ভ্যাটসহ খরচ দেওয়া হলো:

এই মূল্যের সঙ্গে যুক্ত হবে:

৫% VAT

সর্বনিম্ন ৬% মজুরি (গহনার ধরন ও ডিজাইন অনুসারে আরও বেশি হতে পারে)

ভারতের বাজারে আজকের দাম (১৭ জুন ২০২৫)

ক্যারেটপ্রতি গ্রাম (₹)প্রতি গ্রাম (৳)প্রতি ভরি (৳)
২২ ক্যারেট ₹৯৩৬০ ৳১৩,২৯১ ৳১,৫৪,৯৯০
২১ ক্যারেট ₹৮৬৭৫ ৳১২,৩৩৯ ৳১,৪৩,৯৮০
১৮ ক্যারেট ₹৭৬৮৫ ৳১০,৯১৩ ৳১,২৭,৩৮০

ভারতের বাজারে মঙ্গলবারের হিসেবে সোনার দাম ছিল তুলনামূলকভাবে কিছুটা নিচে। নিচে ভারতীয় মূল্যে এবং বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করে দেওয়া হলো (রেট: ₹১ = ৳১.৪২):

ভারতের দামে যুক্ত হবে:

৩% GST

সাধারণত গহনার মজুরি হয় ৮%–১০% পর্যন্ত (ডিজাইন অনুসারে ভিন্ন হতে পারে)

তাহলে কোথায় সস্তা?

ক্যারেটবাংলাদেশ (ভ্যাট-মজুরি সহ)ভারত (GST-মজুরি সহ আনুমানিক)কে সস্তা?
২২ ক্যারেট ৳১,৭৫,২০০+ ~৳১,৬৫,০০০ ???????? ভারত
২১ ক্যারেট ৳১,৬৭,০০০+ ~৳১,৫৩,৫০০ ???????? ভারত
১৮ ক্যারেট ৳১,৪২,৭০০+ ~৳১,৩০,০০০ ???????? ভারত

বিশ্লেষণ:

বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে প্রতিটি ক্যারেটেই সোনার দাম প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা কম। তাই কেউ যদি সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকেন কিংবা বৈধভাবে ভারতে সোনা কেনার সুযোগ পান, তাহলে তা বেশ লাভজনক হতে পারে। তবে কর ও কাস্টম আইন মেনে কেনাকাটা জরুরি।

কেন এই পার্থক্য?

মুদ্রার মান ও আমদানি শুল্ক: বাংলাদেশে সোনার উপর কর, ভ্যাট, ও আমদানি নির্ভরতা বেশি। ভারতে তুলনামূলকভাবে সরবরাহ বেশি ও নীতিগত কিছু সুবিধা রয়েছে।

মজুরি ও ডিজাইন খরচ: ভারতীয় গহনা শিল্পে প্রতিযোগিতা বেশি, ফলে কম খরচে উচ্চমানের ডিজাইন পাওয়া যায়।

স্থানীয় বাজারনীতি: বাজুস দামের নির্ধারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মার্জিন রেখে চলে, যা দাম বাড়িয়ে দেয়।

উপসংহার

বাংলাদেশে এখন সোনা কিনতে হলে খরচ বেশি, কিন্তু বিক্রি করার জন্য সময়টা হতে পারে উপযুক্ত। আর যারা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার ও ভারতের দামের দিকে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্র:

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)

ভারতের গোল্ড রেট (GoldPriceIndia.com)

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ