ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

মাইলস্টোন কলেজ বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানালেন শিক্ষক

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৩ ১৩:৫১:৩৫
মাইলস্টোন কলেজ বিমান বিধ্বস্ত: শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানালেন শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত ভবনের সামনে সংশ্লিষ্ট ও আতঙ্কিত অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা জমায়েত হন। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান কলেজের ভবনের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়, যা একটি মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় রূপ নেয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত ভবনটি ছিল দুই তলা বিশিষ্ট, যেখানে মোট ১২টি শ্রেণিকক্ষ অবস্থিত। এখানে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতো এবং প্রতিটি শ্রেণিতে গড়ে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকতো। মাইলস্টোন স্কুলের প্রভাষক মো. রেজাউল হক জানান, “সাধারণত এই ভবনে দিনে প্রায় ২০০ থেকে ২২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকেন। তবে দুর্ঘটনার সময় টিফিন বিরতির কারণে অনেক শিক্ষার্থী বাসায় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন, তাই উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম ছিল।”

বিমান সরাসরি ভবনের নিচতলায় আঘাত হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিচতলার শ্রেণিকক্ষগুলো, ফলে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনাও সেখানে ঘটে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন নিহত এবং অন্তত ১৬৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য মতে, আহত ও নিহতরা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হাসপাতাল হলো: বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা সিএমএইচ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, লুবনা জেনারেল হাসপাতালসহ অন্যান্য।

দুর্ঘটনার পরপরই সিআইডি ও বিমান বাহিনীর একটি যৌথ দল ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ শুরু করে এবং নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। বর্তমানে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে কেউ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে না পারে।

অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয়রা দ্রুত আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিখোঁজ থাকা শিক্ষার্থীদের খোঁজে পরিবার ও বন্ধুরা হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

মাইলস্টোন কলেজ বিমান দুর্ঘটনা দেশের একটি বড় ট্র্যাজেডি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা শিশুদের নিরাপত্তা ও বিমান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নতুন করে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কারণ উদঘাটন ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ