ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশকে একের পর এক ধাক্কা, আবারও ভারতের ৯ নিষেধাজ্ঞা!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ২৮ ১৮:৫৫:৪০
বাংলাদেশকে একের পর এক ধাক্কা, আবারও ভারতের ৯ নিষেধাজ্ঞা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই দেশের দীর্ঘদিনের বানিজ্যিক সম্পর্কে যেন জমেছে নতুন মেঘ! বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে এবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত। তাও আবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ—স্থলবন্দর ব্যবহার করে।

শুক্রবার (২৮ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য ভারতে আনা যাবে না। তালিকায় আছে কাঁচা পাট, পাটের রোল, সুতা এবং পাটজাত বিশেষ কাপড়। তবে এই পণ্যগুলো সমুদ্রপথে, বিশেষ করে মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দরের মাধ্যমে পাঠানোর অনুমতি থাকছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ এ ধরনের পাটজাত পণ্য ভারতে রপ্তানি করেছে প্রায় ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের। এর ৯৯ শতাংশই গেছে স্থলবন্দর ব্যবহার করে। ফলে নিষেধাজ্ঞার এ সিদ্ধান্ত সরাসরি আঘাত হানবে বাংলাদেশের রপ্তানিতে, বিশেষত পাটখাতে।

তিন মাসে তিন দফা নিষেধাজ্ঞা!

এটিই শুধু নয়। গত তিন মাসে ভারত তিন দফায় বাংলাদেশি পণ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করল।

৯ এপ্রিল: কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠানোর সুবিধা বন্ধ।

১৭ মে: তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কাঠের আসবাব, ফলমূলসহ নানা পণ্যে স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা।

২৮ জুন: পাট ও পাটজাত ৯ পণ্যে স্থলবন্দরের দরজা বন্ধ।

তবে আশার কথা, এসব পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি করতে ভারতের ভেতর দিয়ে স্থলপথ ব্যবহারে এখনো কোনো বাধা থাকছে না।

চাপে পড়ছে ব্যবসা, প্রশ্ন উঠছে উদ্দেশ্য নিয়ে

ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন—এতো ঘনঘন নিষেধাজ্ঞা কেন? বিশেষ করে এমন এক সময় যখন বাংলাদেশ তার ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্পকে আবার ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত এভাবে একের পর এক বিধিনিষেধ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের রপ্তানিকে চাপে ফেলছে না, বরং দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টি নিছক বানিজ্যিক নয়—পেছনে রয়েছে কূটনৈতিক বার্তা। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার এই অবস্থায় কী জবাব দেয়, এবং কৌশলগতভাবে কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করে।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ