ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিসিএস ২০তম ব্যাচে পদোন্নতি পেলেন কারা, বাদ কারা পড়ছেন?

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১২:৩০:০৫
বিসিএস ২০তম ব্যাচে পদোন্নতি পেলেন কারা, বাদ কারা পড়ছেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনপ্রশাসনে আবারও আসছে কাঙ্ক্ষিত রদবদল। যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই প্রায় চূড়ান্ত। ৩৭৮ জন কর্মকর্তার এ ব্যাচ থেকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রায় ১৩০ জন। তালিকাটি এখন সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) পর্যালোচনায় রয়েছে এবং শিগগিরই পাঠানো হবে প্রশাসন সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদনের জন্য।

সূত্র জানায়, তালিকায় থাকা কর্মকর্তারা মূলত তাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা ও সততার ভিত্তিতে নির্বাচন পেয়েছেন। অন্যদিকে যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাদের অনেকেই নানা বিতর্কে জড়ানো, শৃঙ্খলাভঙ্গ, দুর্নীতি কিংবা অনৈতিক আচরণের অভিযোগে আলোচিত ছিলেন।

বিশেষ করে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ‘রাতের ভোট’ নিয়ে যাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সেই সময়ের কিছু জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবার পদোন্নতির বিবেচনায়ই আসেননি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থেকে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেধা, সততা ও দায়িত্বশীলতা যাচাইয়ের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি হচ্ছে। জনপ্রশাসনের ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতা বজায় রাখতে অনুমোদিত পদের বাইরেও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা উইং, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি করপোরেশন মিলিয়ে প্রায় ৪০০ অতিরিক্ত সচিবের প্রয়োজন রয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “এটা শুধু পদোন্নতির বিষয় না, এটা হচ্ছে প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার একটি পর্ব। তাই এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের পেশাগত পরিচ্ছন্নতা ও নৈতিক অবস্থানকে।”

চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের পরেই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মাসের মধ্যেই এই পদোন্নতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

পদোন্নতির তালিকায় সুযোগ পাওয়া কর্মকর্তাদের জন্য এটি যেমন স্বীকৃতি ও সম্মান, তেমনি বাদ পড়াদের জন্যও একটি বার্তা—সরকারি প্রশাসনে পেশাদারিত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত আচরণ এবং নৈতিকতার গুরুত্ব এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ