ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

সৌদিতে তামাকপণ্যে কড়া নিষেধাজ্ঞা, প্রবাসীরা কীভাবে প্রভাবিত?

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১৭ ১১:৪৮:৩৭
সৌদিতে তামাকপণ্যে কড়া নিষেধাজ্ঞা, প্রবাসীরা কীভাবে প্রভাবিত?

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরবে মুদির দোকানগুলোতে তামাকজাত পণ্য বিক্রির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। দেশটির পৌরসভা ও আবাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে সাধারণ সিগারেট, ই-সিগারেট, সিসা ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য মুদির দোকানে বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নতুন এই বিধি অনুযায়ী, সৌদি খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের (SFDA) লাইসেন্সপ্রাপ্ত তামাক পণ্য হলেও তা মুদির দোকানে বিক্রি করা যাবে না। এর পাশাপাশি, যেসব দোকানে তামাক পণ্য বিক্রির অনুমতি রয়েছে, সেখানেও এগুলো প্রদর্শন করা যাবে না। দোকানিরা এসব পণ্য গোপনে রাখবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রেতাকে সরবরাহ করবেন।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১৮ বছরের নিচের কেউ তামাকজাত পণ্য কিনতে পারবে না। দোকানি চাইলে বয়স যাচাইয়ের জন্য পরিচয়পত্র চাইতে পারবেন।

তবে, সৌদিতে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়। সরকারি ভবন, হাসপাতাল, গণপরিবহন ও অফিসে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকলেও নির্ধারিত কিছু জায়গায় ধূমপানের অনুমতি রয়েছে। ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থানে গিয়ে তা করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের বাইরে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই নিষেধাজ্ঞায় কীভাবে প্রভাবিত হবেন? সৌদি আরবের অধিকাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী মুদি দোকান থেকে সহজে তামাকজাত পণ্য কিনে থাকেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা বিকল্প উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে বাধ্য হবেন, যা অনেক সময় বেশি খরচসাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। পাশাপাশি, প্রবাসীদের জন্য বয়স যাচাইয়ের বিধান কঠোর হওয়ায় তরুণ প্রবাসীদের জন্য তামাক পণ্য পাওয়া কঠিন হবে।

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, যাতে প্রবাসীরা আইন মেনে চলতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়াতে পারে।

সৌদির তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা দীর্ঘদিন ধরেই কড়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন সময়ে ধুমপান ও তামাক পণ্যের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ