ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

লিভারপুল বনাম এসি মিলান ফলাফল: ছয় গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ১৯:৩৩:২৪
লিভারপুল বনাম এসি মিলান ফলাফল: ছয় গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল এবং ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে মিলান ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। ছয় গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচটি হয়েছে আধিপত্য, প্রতিআক্রমণ এবং কার্যকর সুযোগ কাজে লাগানোর এক দুর্দান্ত উদাহরণ। লিভারপুল বল দখলে অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও, ম্যাচ জিতে নিয়েছে এসি মিলান।

ম্যাচের প্রথমার্ধ: লেওর গোলে মিলানের এগিয়ে যাত্রা

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে। দশম মিনিটে এসি মিলানের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন রাফায়েল লেও। ডিফেন্স ভেঙে দারুণ স্কিলের মাধ্যমে বল জালে জড়ান এই পর্তুগিজ তারকা।

তবে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি লিভারপুল। ২৬ মিনিটে ডমিনিক সোবোসলাই দুর্দান্ত এক গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলেও বল দখলে এবং আক্রমণে লিভারপুল কিছুটা এগিয়ে ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে এসি মিলানের আধিপত্য

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ছন্দ ফিরে পায় এসি মিলান। ৫২ মিনিটে রুবেন লফটাস-চীক গোল করে মিলানকে পুনরায় এগিয়ে দেন। এই গোলের পর লিভারপুলের রক্ষণভাগে কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, যা ৫৯ মিনিটে নোয়া ওকাফোর গোলের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

লিভারপুল আক্রমণ চালিয়ে যায় এবং ৯০+৩ মিনিটে কোডি গাকপো একটি গোল করে ব্যবধান ৩-২-এ নামিয়ে আনে। তখনো ম্যাচে উত্তেজনা ছিল পূর্ণমাত্রায়। কিন্তু ঠিক এক মিনিট পরই, ৯০+৪ মিনিটে ওকাফোর দ্বিতীয় গোলটি করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ একেবারে নিয়ে নেয় এসি মিলান।

পরিসংখ্যানেই লিভারপুলের নিয়ন্ত্রণ, কিন্তু ফল বিপরীত

ম্যাচ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, লিভারপুল বল দখলে (৬৯%) এবং পাসিংয়ের ক্ষেত্রে (৬৮১টি পাস) একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে। পাস সফলতার হার ছিল ৯২%, যেখানে এসি মিলানের ছিল ৮৫%। তবে শট অন টার্গেটে মিলান এগিয়ে ছিল ৮-৭ ব্যবধানে।

লিভারপুল নিয়ন্ত্রিত খেলা খেললেও গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। মিলানের প্রতিআক্রমণ ছিল দ্রুত, পরিকল্পিত ও কার্যকর। লিভারপুলের রক্ষণভাগ ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকবার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, যার সুযোগ নিয়েছে মিলান।

গোলদাতারা:

এসি মিলান

রাফায়েল লেও (১০ মিনিট)

রুবেন লফটাস-চীক (৫২ মিনিট)

নোয়া ওকাফোর (৫৯ মিনিট, ৯০+৪ মিনিট)

লিভারপুল

ডমিনিক সোবোসলাই (২৬ মিনিট)

কোডি গাকপো (৯০+৩ মিনিট)

ম্যাচে কোনো কার্ড নয়, ক্লিন ফেয়ার ফুটবল

দুই দলই পুরো ম্যাচে অত্যন্ত পরিষ্কার এবং ফেয়ার ফুটবল খেলেছে। কোনো হলুদ বা লাল কার্ড দেখা যায়নি। এসি মিলান করেছিল ১২টি ফাউল এবং লিভারপুল ৫টি। অফসাইডের ক্ষেত্রে মিলান এগিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে। কর্নার পেয়েছে লিভারপুল ৪টি এবং মিলান মাত্র ১টি।

ম্যাচের শিক্ষণীয় দিক

এই ম্যাচ লিভারপুলের জন্য একটি বড় শিক্ষা। বল দখল বা পাসিং যতই নিখুঁত হোক, গোল করতে না পারলে ম্যাচ জয় অসম্ভব। অপরদিকে, এসি মিলান দেখিয়েছে কিভাবে কম পজিশন নিয়েও কার্যকর আক্রমণের মাধ্যমে জয় ছিনিয়ে নেওয়া যায়।

প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলের পারফরম্যান্স ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ছিল উপভোগ্য এবং শিক্ষণীয়। লিভারপুলকে সামনে কঠিন মৌসুমের জন্য ডিফেন্স ও ফিনিশিং নিয়ে ভাবতে হবে। অন্যদিকে মিলান তাদের স্ট্র্যাটেজিক কাউন্টার অ্যাটাক ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ