জমির দলিল লেখার আগে যে ৭টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি কেনা জীবনের অন্যতম বড় বিনিয়োগ। কিন্তু সঠিক যাচাই-বাছাই ছাড়া দলিল সম্পাদন করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি ও আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর মতে, দলিল লেখার সময় ক্রেতার দায়িত্ব শুধু অর্থ প্রদানেই শেষ হয় না, বরং জমির মালিকানা থেকে শুরু করে দাগ-খতিয়ান মিলানো—সব কিছুতে সতর্ক থাকা জরুরি।
২০২৫ সালে জমির দলিল লেখার আগে যে ৭টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো—
১. বিক্রেতার পরিচয় ও আইনি সক্ষমতা যাচাই করুন
প্রথমেই নিশ্চিত হোন বিক্রেতা আইনগতভাবে সাবালক এবং মানসিকভাবে সুস্থ কিনা। তিনি দেউলিয়া নন বা আদালতের নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই তা নিশ্চিত করা জরুরি।
২. জমির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করুন
জমির আসল মালিক কে তা সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে। যদি বিক্রেতা উত্তরাধিকার সূত্রে জমি পেয়ে থাকেন, তবে উত্তরাধিকার সনদ ও প্রমাণপত্র দেখতে হবে এবং আগের মালিকের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র যাচাই করতে হবে।
৩. দাগ ও খতিয়ান নম্বর মিলিয়ে নিন
দলিলে উল্লেখিত দাগ ও খতিয়ান নম্বর যেন বর্তমান পরচা ও রেকর্ডের সঙ্গে মিলে যায়, তা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে ভূমি অফিস বা জেলা রেকর্ড রুম থেকে যাচাই করে নিতে হবে।
৪. জমির সীমানা ও অবস্থান স্পষ্টভাবে লিখুন
দলিলে জমির চারপাশের সীমানা, পরিমাণ ও অবস্থান বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। অস্পষ্ট বর্ণনা ভবিষ্যতে বিরোধের কারণ হতে পারে।
৫. নথিতে কোনো কাটাকাটি বা অস্পষ্ট লেখা যেন না থাকে
দলিলে কোনো কাটাকাটি বা ঘষামাজা থাকলে তা সন্দেহজনক হতে পারে। ভুল হলে দলিলের শেষে পরিষ্কার কৈফিয়ত লিখে দলিল লেখকের স্বাক্ষর নিতে হবে।
৬. স্বাক্ষর, সাক্ষী ও শনাক্তকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করুন
দলিলের প্রতিটি পৃষ্ঠায় বিক্রেতার স্বাক্ষর থাকতে হবে। সঙ্গে কমপক্ষে দুইজন সাক্ষী এবং একজন শনাক্তকারীর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক।
৭. প্রয়োজনীয় নথিপত্র সঙ্গে রাখুন
দলিল সম্পাদনের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র, বর্তমান পরচা, জরিপ নকল, খাজনার রশিদ এবং প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এতে পরবর্তীতে কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে তা সহজে সমাধান করা যায়।
এই ৭টি বিষয় খেয়াল রেখে দলিল সম্পাদন করলে ভবিষ্যতের আইনি ঝামেলা, সময় এবং অর্থ—সবকিছুই সাশ্রয় হবে। মনে রাখবেন, জমি কেনা শুধু একটি লেনদেন নয়, এটি আপনার নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের বিনিয়োগ।
FAQ:
প্রশ্ন: বিক্রেতার আইনি সক্ষমতা যাচাই কেন জরুরি?
উত্তর: বিক্রেতা সাবালক, মানসিকভাবে সুস্থ এবং দেউলিয়া নন তা নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে আইনি সমস্যা এড়ানো যায়।
প্রশ্ন: দাগ ও খতিয়ান নম্বর মেলানো কেন দরকার?
উত্তর: এটি নিশ্চিত করে যে আপনি যে জমি কিনছেন সেটির অবস্থান ও মালিকানা সঠিক।
প্রশ্ন: দলিলে কাটাকাটি থাকলে কী করবেন?
উত্তর: ভুল থাকলে দলিলের শেষে কৈফিয়ত লিখে দলিল লেখকের স্বাক্ষর নিন।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে বড় ঘোষণা: ৪৪ কোম্পানির বোর্ড সভার সময়সূচি প্রকাশ, আসছে ইপিএস
- শেয়ার বাজারে কারসাজি: ১৩ পক্ষকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা জরিমানা বিএসইসির
- আজকের সোনার দাম: ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ও রুপার ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া: রনির ব্যাটিং ঝড়, ৭২ বলে ২৪৫, শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- আজকের সোনার দাম: দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- সেনাবাহিনীসতর্কবার্তা: জারি করল সতর্কতা
- ফিজি বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live) এখানে
- প্রকৌশল খাতে ১২ কোম্পানির লভ্যাংশ অপরিবর্তিত
- সামিট অ্যালায়েন্সের রেকর্ড মুনাফা: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আসছে রেকর্ড নগদ লভ্যাংশ
- কিছুক্ষণ পর ব্রাজিল বনাম ইন্দোনেশিয়া ম্যাচ: খেলাটি সরাসরি দেখুন (Live)
- ওরিয়ন ইনফিউশন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- মাশরাফিকে দিয়ে আন্ডারওয়্যার ধুয়েছিলেন মঞ্জুরুল
- আবারও রেকর্ড গড়লো স্বর্ণের দাম
- ফার্মা এইডসের বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিএসইসি’র বিতর্কিত নীতিতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে শেয়ারবাজার