ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনে নতুন আইন কার্যকর, দেখে নিন সব পরিবর্তন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১২:২৫:৪২
জমির দলিল রেজিস্ট্রেশনে নতুন আইন কার্যকর, দেখে নিন সব পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশের জমি রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থায় নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে জমির দলিল সংক্রান্ত প্রতারণা কমানো এবং মালিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। নতুন আইন পুরো দেশে একযোগে প্রয়োগ হবে, যার ফলে ভূমি মালিকরা দলিল সংগ্রহ এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় আর কোনো ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হবেন না।

নতুন আইনের মূল পরিবর্তনসমূহ

১. দলিল যাচাই প্রক্রিয়া:

নতুন আইন অনুযায়ী জমির তথ্য যাচাই করা হবে সরকার অনুমোদিত আইনজীবী এবং সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে। এছাড়া স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে সর্বশেষ খতিয়ান সংগ্রহ বাধ্যতামূলক।

২. দলিল বাতিলের কারণ:

খতিয়ান মেলেনি বা জাল খতিয়ান ব্যবহার

বৈধ মালিকের সম্মতি ছাড়া জমি বিক্রি

পৈতৃক সম্পত্তি বণ্টনের সময় সকল ওয়ারিশের সম্মতি না থাকা

জমির দাগ নম্বর, পরিমাণ ও মালিকানার ভুল তথ্য

স্টাম্প ও রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ না করা

রেজিস্ট্রি অফিসে যথাযথ সাক্ষীর অনুপস্থিতি

৩. স্বচ্ছতা ও সতর্কতা:

দলিলে মালিকদের যোগাযোগ নম্বর যুক্ত থাকবে, যাতে দলিল গ্রহণের সময় এবং আপডেটের খবর সরাসরি জানানো যায়। সরকারের লক্ষ্য হল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ, নিরাপদ এবং প্রতারণামুক্ত করা।

৪. রেজিস্ট্রেশন সীমাবদ্ধতা:

আদালতের নিষেধাজ্ঞা, রেভিনিউ স্থগিতাদেশ, খাস জমি, সংরক্ষিত এলাকা এবং কৃষিজমির দলিল রেজিস্ট্রেশন নতুন আইন অনুযায়ী বন্ধ থাকবে।

নতুন আইনের প্রভাব

এই নতুন আইন ভূমি ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনবে, দলিল সংক্রান্ত জালিয়াতি কমাবে এবং মালিকানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, আইনগত সতর্কতা অবলম্বন না করলে দলিল বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে এবং মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে এই নতুন আইন সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন থাকা এখন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলার মুখোমুখি না হতে হয়।

আরও পড়ুন:

নতুন নিয়মে জমির দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার পুরো প্রক্রিয়া

জমির খতিয়ানে ভুল হলে নিজেই সংশোধন করবে ভূমি অফিস

FAQ:

১. নতুন দলিল রেজিস্ট্রেশন আইনের প্রধান লক্ষ্য কী?

— জমির দলিল প্রতারণা রোধ এবং মালিকানার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

২. দলিল রেজিস্ট্রেশনের আগে কী করতে হবে?

— সরকার অনুমোদিত আইনজীবী ও সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে জমির তথ্য যাচাই করা বাধ্যতামূলক।

৩. সর্বশেষ খতিয়ান কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হবে?

— স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে।

৪. কোন ধরনের জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকবে?

— আদালতের নিষেধাজ্ঞা, রেভিনিউ স্থগিতাদেশ, খাস জমি, সংরক্ষিত এলাকা ও কৃষিজমি।

৫. নতুন আইন কখন থেকে কার্যকর হবে? — ২০২৫ সালের জুলাই থেকে।

জামিরুল ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ