ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

পদত্যাগের সময় জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১২:৫৮:৩৬
পদত্যাগের সময় জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরকার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঠিকানা টিভির টকশোতে প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে আলাপে এই ঘোষণা দেন তিনি। তিনি জানান, “২০১৮ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয়। আমার মতে, নির্বাচনের সময় রাজনীতিতে যারা সক্রিয় তারা সরকারে থাকা উচিত নয়। তাই তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করাই শ্রেয়।”

তিনি স্পষ্ট করেননি যে, আগামী নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন কি না বা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেবেন কি না।

টকশোতে আসিফ মাহমুদ খোলাখুলিভাবে আলোচনা করেন জুলাই আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে তার দায়িত্ব, সামরিক বাহিনীর ভূমিকা, রাজনৈতিক বিভাজন, আসন্ন নির্বাচন ও মুরাদনগরের বিতর্কিত ঘটনার মতো বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, “আমি ক্ষমতার জন্য সরকারে আসিনি, বরং গণঅভ্যুত্থানের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই দায়িত্ব নিয়েছি।”

তিনি আরও জানান, জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ ও স্থানীয় সরকার সংস্কার প্রস্তাব এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, যা তার দায়িত্বের ইতিহাসের অংশ হিসেবে মনে করেন।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, “সরকার গঠনের আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ড. ইউনূসকে মেনে নিতে চাননি। তিনি আওয়ামী লীগের পছন্দের ছিলেন না। পরে সেনাপ্রধান নিজে স্বীকার করেছেন যে ‘বুকে পাথর চাপা দিয়ে’ তাকে মেনে নিতে হয়েছে।” তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই; মতবিরোধ ছিল রাজনৈতিক বিষয়কেন্দ্রিক।

তিনি দাবি করেন, “বর্তমানে একক সরকার নেই; একাধিক কেন্দ্র থেকে শাসন কার্যকর হচ্ছে। ড. ইউনূস সরকারের পাশাপাশি সামরিক বাহিনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি সক্রিয়।” তিনি জানান, জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে, যেখানে কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকেও যুক্ত করা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি আরও জানান, “সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অথচ এই নির্বাচন আয়োজন করার এখতিয়ার আমাদের নেই। সব দল রাজি হলেও বিএনপি ও কিছু মিত্র দল রাজি নয়।”

কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঁদাবাজি, শিক্ষক নিপীড়ন ও মব লিঞ্চিংয়ের অভিযোগে তার বাবা বিল্লাল হোসেনকে আশ্রয়দাতা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এসব রাজনৈতিক অপপ্রচার। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।”

শেষে তিনি বলেন, “অনেকে ভাবছেন আমি মুরাদনগর থেকে নির্বাচনে অংশ নেব। এটি সত্য নয়। আমি জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতি করতে চাই, এবং ঢাকাই আমার রাজনৈতিক গন্তব্য।”

আরও পড়ুন:আদালতে যা বললেন মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ