Alamin Islam
Senior Reporter
নির্বাসনে আওয়ামী লীগ: কলকাতায় কেমন আছেন পালিয়ে আসা নেতারা?
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে বহু শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী এবং এমপি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের অনেকেই এখন ভারতের কলকাতায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'দ্য প্রিন্ট'-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তাদের এই অজানা জীবনের গল্প উঠে এসেছে।
কলকাতার নিউ টাউনে নতুন সংসার
প্রতিবেদন অনুসারে, পালিয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই কলকাতার নিউ টাউনের বহুতল ভবনগুলোতে নতুন জীবন শুরু করেছেন। একসময় যারা দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন, তারা এখন সাধারণ ফ্ল্যাটে অনেকটা বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ভয়, চিন্তা এবং দেশে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কাজ করছে।
ডিজিটাল মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
বর্তমানে অনলাইন মিটিংই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল ভরসা হয়ে উঠেছে। ঢাকা, লন্ডন বা নিউইয়র্কে থাকা অন্য নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমেই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছেন তারা।
ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবেক নেতারা
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার এখন ঘুমানোর সময় নেই। তিনি বলেন, "প্রতিটা দিন কাজ আর কাজের মধ্যেই কাটছে। লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা।"
নির্বাসিত জীবনের রুটিন
'দ্য প্রিন্ট'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাসিত নেতাদের জীবন একটি নির্দিষ্ট রুটিনে বাঁধা পড়েছে। কেউ ভোরের নামাজের পর জিমে যান, কেউ শরীরচর্চা করেন। সন্ধ্যায় প্রায় সবাই বিশ্বজুড়ে থাকা আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসেন।
কক্সবাজারের একজন সাবেক এমপি জানিয়েছেন, তিনি এই একঘেয়ে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ৩০ হাজার রুপি ভাড়ার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী অনিয়মিত হওয়ায় তাকে মাঝে মাঝে রান্নাও করতে হয়। তিনি মজা করে বলেন, "দেশে ফিরে হয়তো শেফ হয়ে যাব।"
ঢাকার আরেক তরুণ সাবেক এমপি এই অবসরের সময়টাকে কাজে লাগিয়েছেন ভিন্নভাবে। তিনি দিল্লিতে গিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন। ব্যস্ততার কারণে যা তিনি এমপি থাকাকালীন পারেননি।
গোপন অফিস ও শীর্ষ নেতাদের অবস্থান
কলকাতায় আওয়ামী লীগের একটি গোপন অফিস থাকার গুঞ্জন রয়েছে। যদিও কক্সবাজারের সাবেক এমপি এটিকে 'অফিস' বলতে নারাজ। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, তাদের মিলিত হওয়ার জন্য একটি জায়গা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। 'দ্য প্রিন্ট' এর তথ্যমতে, পালিয়ে আসা প্রায় ১,৩০০ নেতা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, তাই তাদের জন্য একটি আলাদা জায়গার প্রয়োজন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে খবর ছড়িয়েছিল যে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কলকাতার নিক্কো পার্কে দেখা গেছে। তিনি তার পরিবার নিয়ে সেখানেই একটি বড় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছেন এবং নিয়মিত দলীয় বৈঠক করছেন। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তিনি দিল্লি ভ্রমণ করেন দলীয় সভা বা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য।
নিউ টাউনের এক সাবেক এমপি জানান, "খান সাহেবই আসলে আমাদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।"
এই নেতারা কীভাবে দেশ ছেড়েছেন, সেই রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তাদের প্রস্থানের কোনো বৈধ রেকর্ড নেই। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পার হয়েছেন, আবার কেউ কেউ দেশেই আত্মগোপনে আছেন।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, জানা গেল সর্বশেষ অবস্থা
- earthquake today: এবার ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়?
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: ৪১ ওভার শেষ, Live দেখুন এখানে
- আজ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি দাম কত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ লাইভ: খেলাটি সরাসরি দেখুন Live
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কীভাবে দেখবেন লাইভ
- আজকের সোনার দাম: (শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫)
- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
- ban u19 vs afg u19 : ৪১ ওভার শেষ, Live দেখুন এখানে
- শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ: চরম নাটকীয়তায় শেষ হলো ম্যাচ জানুন ফলাফল
- আইপিএল ২০২৬ মিনি-নিলামের দিনক্ষণ চূড়ান্ত: কবে, কখন জানুন সময়সূচি
- সাড়ে ৩ কোটি রুপিতে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ: রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- ভারতের ৪ ক্রিকেটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা