
MD. Razib Ali
Senior Reporter
ভোটের আগে জোটের দৌড়ে কে এগিয়ে? কে বাধছে কার সাথে জোট

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় এই ভোটযুদ্ধকে সামনে রেখে দলগুলো নিজেদের কৌশল সাজাচ্ছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর এককভাবে নয়, জোটবদ্ধ হয়ে অথবা আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে তারা। এই প্রেক্ষাপটে, একসময় চারদলীয় জোটের অংশীদার বিএনপি ও জামায়াত এখন ভিন্ন পথে হাঁটছে, যা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জোট গঠনের তোড়জোড় এবং মতানৈক্য:
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো মুখে যাই বলুক না কেন, তারা কিন্তু ইতিমধ্যেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছে। জুলাই সনদ এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত মতবিরোধগুলো দ্রুতই সমাধান হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান তিন স্টেকহোল্ডার একটি সমঝোতার দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। পর্দার আড়ালে 'জোট গঠন' বা 'আসন সমঝোতা' নিয়ে নিবিড় আলোচনা চলছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি পৃথক জোট গঠনে বিশেষ তৎপরতা দেখাচ্ছে। এর বাইরে, বাম, ডান ও ইসলামি দলগুলো আরও দুটি স্বতন্ত্র জোট গঠনে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ:
একটি সূত্র অনুযায়ী, জুলাই সনদসহ কয়েকটি ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যকার মতবিরোধ সমাধানে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরাও সক্রিয়। তারা দুটি দলের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে আগ্রহী এই কূটনীতিকরা ইতিমধ্যেই বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
নিউইয়র্কে নেতাদের সফর ও জল্পনা:
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের এই সফর নানা গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট দূর করতে হয়তো এই সফরসঙ্গী করা হয়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে যেটুকু মতবিরোধ আছে, তার সমাধান এখানেই হতে পারে। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা না গেলেও, দেশে ফেরার পর তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। দেশের জনগণ আর কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চায় না, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত রাজপথের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।
বড় দলগুলোর ছোট দল প্রীতি:
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছোট দল ও সংগঠনগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা করছে। কয়েকটি জোট বা পক্ষ আলাদাভাবে কাজ করছে এবং তাদের নিজস্ব এজেন্ডা রয়েছে।
বিএনপির পুরোনো ও নতুন মিত্র:
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করা রাজনৈতিক সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপি এখনও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। পুরোনো মিত্রদের বাইরেও বিএনপি এখন কিছু নতুন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মিত্রদের জন্য আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরের মধ্যেই মিত্রদের জন্য কতটি আসন ছাড় দেওয়া হবে, তা বিএনপি চূড়ান্ত করবে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, "আমরা এখনো কারও সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা করিনি। নির্বাচন এগিয়ে এলে তখন হতে পারে। আর যুগপৎ আন্দোলনের দল ও জোটগুলো আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, তারা তো আছে। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে। এই বিষয়টি আমরা লক্ষ করছি।"
জামায়াতের স্বতন্ত্র পথ:
আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী একটি নতুন ফ্রন্ট গঠন বা নির্বাচনী সমঝোতার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি বাম ও মধ্যম ধারার আরও কয়েকটি দল তৃতীয় একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছে। বাম ও ইসলামি ধারার কয়েকটি দল ইতিমধ্যেই পৃথক জোট গঠনে অনেকটাই এগিয়েছে, যা ভোটের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার যুগান্তরকে বলেন, "জোটের অগ্রগতি হলেই আমরা জানাব। আর এক বাক্সে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি সময় হলে দেখা যাবে। একটা ঐক্যের আগ্রহ ও আন্তরিকতা অনেক দলগুলোর মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে, সেই হিসাবে তো প্রচেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে। এটা যখন একটা পরিণত রূপ লাভ করবে এবং বলার মতো হবে-তখন আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।"
জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের এক হওয়ার গুঞ্জন:
ভোটের জোটে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। দুই দলের নেতারা ইতিমধ্যেই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন। তবে একীভূত হলে দলের নাম কী হবে বা বড় পদগুলোতে সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান যুগান্তরকে বলেন, "তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আলোচনায় ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। ‘যদি-কিন্তু’ ছাড়াই ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলার নবযাত্রা শুরু হলে দেশের রাজনীতিতে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির নেতাকর্মীদের অনেকের বিগত দিনে রাজপথে একসঙ্গে পথচলার ও রাজনীতি করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "একীভূত হওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত উভয় দলের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করছে।"
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর শুক্রবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, "এখন পর্যন্ত আসন নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ কোনো দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেনি। তবে অনেক দলের সঙ্গেই জোট গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার সন্তোষজনক অগ্রগতি হলে অবশ্যই জানানো হবে।"
ইসলামপন্থীদের ভোট এক বাক্সে আনার চেষ্টা:
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলামপন্থীদের ভোট এক বাক্সে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের এই প্রক্রিয়া এখন দৃশ্যমান। অন্তত সাতটি দল অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছে। যদিও এর মধ্যে একটি ইসলামি দল, যাদের শীর্ষ নেতারা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন, তারা এখন জামায়াতের সঙ্গে কোনো জোট বা নির্বাচনী সমঝোতায় যাবেন কিনা, তা পুনর্বিবেচনা করছেন। ওই দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে জানান, শেষ পর্যন্ত তার দল বিএনপির সঙ্গেও জোটে যেতে পারে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, "নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর এক বাক্সে থাকার সম্ভাবনা আছে। একক প্রার্থী দিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে সমঝোতা হতে পারে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।"
বিএনপির হেফাজত-কৌশল:
জামায়াতের এই তৎপরতার বিপরীতে বিএনপিও পাল্টা কৌশল নিয়েছে। গত ৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। পরবর্তীতে ১ আগস্ট চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি ঢাকায় আবারও হেফাজতের আমিরের সঙ্গে বিএনপি নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, "হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। হেফাজতের আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে সাক্ষাৎ করেছি।" তবে তিনি যোগ করেন, "হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে থাকা কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।"
এছাড়াও, মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও ছারছীনা পীরের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক হয়েছে, যা নির্বাচনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সংগঠনগুলোর নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে এবং তারা আদর্শিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর বিরোধী হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি জামায়াতবিরোধী আরও কয়েকটি দল ও সংগঠনের সম্মেলন ও সভাতেও বিএনপি নেতাদের দেখা গেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের জোট ভাবনা:
জুলাই সনদের বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এসব দলের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তারা কোনো নির্বাচনী জোট গঠন করবেন না, বরং ভোট এক বাক্সে আনার চেষ্টা করছেন। এই সমঝোতার ভিত্তিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো একক প্রার্থী দিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে সমঝোতা করতে চায়।
এদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ নয়টি রাজনৈতিক দল নতুন জোট গঠনের আলোচনা করেছে। এই উদ্যোগে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় শরিক দল - জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি। তারা ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেছে। যদিও এর মধ্যে দুটি দলের শীর্ষ নেতা যুগান্তরকে বলেছেন, তারা জোট গঠন নয়, জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলছেন এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
পর্যায়ক্রমে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিএনপিসহ অন্য সব দলের সঙ্গেও তারা বসবেন। তবে নয়টি দলের মধ্যে বামপন্থি কয়েকটি দলের নেতা জানিয়েছেন, তারা জামায়াতের সঙ্গে সরাসরি বসতে রাজি নন। আবার ৯ দলের মধ্যে তিনটি দলের শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, জোট গঠন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আরও কিছু দল যোগ দিতে পারে।
জানা গেছে, বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চকে নিয়ে আগেই নির্বাচন এবং বিজয়ী হলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে জুলাই সনদ নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান বিএনপির চেয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের তিনটি দল আবার বিএনপির সঙ্গে জোটে যেতে আগ্রহী।
তবে এনসিপি জানিয়েছে, জোট বা সমঝোতার বিষয়ে তাদের দলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাম ধারার নতুন জোট:
নির্বাচনের আগে বাম ধারার সব দল ও সংগঠনকে নিয়ে একটি জোট গঠনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) তৎপর রয়েছে। এতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল - বাসদ, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ থাকছে। এর বাইরে আদিবাসী সংগঠন, দলিত সংগঠন এবং নাগরিক সংগঠনগুলোকে জোটে ভেড়ানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া আরও কয়েকটি ইসলামি দল মিলে পৃথক জোট গঠনের আলোচনা চলছে বলেও জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের অভিমত:
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, "জুলাই সনদ ও নির্বাচন নিয়ে তো সমঝোতা হওয়া উচিত। ৫ আগস্টের পর এখন এক পরিবর্তিত পরিস্থিতি চলছে। ফলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সব নাগরিকের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জনগণ যে রাষ্ট্রের পূর্ণ মালিক সে বিষয়টা গ্রহণযোগ্য করতে হবে। এখন বিভিন্ন বড় ইস্যু নিয়ে সব দল যে পুরোপুরি একমত হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে তো আলোচনা হতে হবে, আলোচনা হচ্ছেও। বিশেষ করে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখন অনুঘটক হিসাবে মাঠে আছে তাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।"
জোট গঠন প্রসঙ্গে এই বিশ্লেষকের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, নির্বাচন সামনে রেখে মোটা দাগে অন্তত তিনটি জোট হতে পারে। বিএনপি ও তাদের মিত্র উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটি জোট হবে। জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি কয়েকটি দল নিয়ে একটি জোট হবে। এছাড়া বাম ধারার রাজনৈতিক দলগুলো মিলে আরেকটি জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে বাম-ডান, মধ্যম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি জোট দেখা যেতে পারে।
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোট গঠনের প্রক্রিয়া জমে উঠেছে। প্রতিটি দলই নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে এবং ক্ষমতা দখলের দৌড়ে এগিয়ে থাকতে তৎপর। এই জোটগুলোর সমীকরণ শেষ পর্যন্ত কেমন দাঁড়ায়, তা দেখার জন্য রাজনৈতিক মহলের অপেক্ষা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক হবে।
আব্দুর রহিম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান: টস শেষ, একাদশ ৩ পরিবর্তন, লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- আজ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- আজ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন লাইভ
- চলছে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- আজ ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: ২ উইকেট হারালো পাকিস্তান, লাইভ দেখুন এখানে
- ২৬ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা: বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ?
- ৬ কোম্পানির রেকর্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০% লভ্যাংশ ঘোষণা: ২৫% নগদ, ২৫% স্টক
- শেয়ারবাজারে ভয়ংকর প্রতারণা: অন্ধকারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ঝুঁকিতে বিনিয়োগকারীরা
- 'জেড' ক্যাটাগরি থেকে 'এ' ক্যাটাগরিতে উন্নীত এক কোম্পানির শেয়ার
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে