ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

মারিয়া কোরিনা মাচাদো

শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৫:৩৩:২১
শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা

ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরশাসন থেকে ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

নোবেল কমিটি তাদের ঘোষণায় জানিয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য মারিয়া কোরিনা মাচাদোর অবিচল সংগ্রাম এবং অহিংস প্রতিরোধের মাধ্যমে তিনি শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তার সাহসী অবস্থান এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার নেতৃত্ব তাকে এই আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছে।

মাচাদোর এই স্বীকৃতি এমন এক সময়ে এলো যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ঝুঁকির মুখে। তার এই পুরস্কার বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বরগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপকগণ:

নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করেছেন, তাদেরকেই এই সম্মান জানানো হয়েছে:

২০২৪ সালে: জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের এক তৃণমূল আন্দোলন।

২০২৩ সালে: ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি, ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারে তার ভূমিকার জন্য।

২০২২ সালে: বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।

২০২১ সালে: ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাদের দুঃসাহসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ।

নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে মাইলফলক:

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দীর্ঘ ইতিহাসে রেড ক্রস সবচেয়ে বেশি তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে) এই সম্মান অর্জন করেছে। এছাড়াও, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে) এই পুরস্কার পেয়েছে।

মারিয়া কোরিনা মাচাদোর এই অর্জন ভেনেজুয়েলার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নতুন প্রেরণা যোগাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আল-মামুন/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ